শাহাদান আব্বাসি। —ফাইল চিত্র।
দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল পাঁচ বছরের শিশুটি। রাতে বাবা থানায় বসে নিখোঁজ ডায়েরির বয়ান লিখছিলেন। তখনই খবর এল, ছেলের বস্তাবন্দি দেহ মিলেছে বাড়ির পাশের পুকুরে। বয়ান গেল বদলে। নিখোঁজ ডায়েরির বদলে দায়ের হল খুনের অভিযোগ।
শুক্রবার হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের পূর্ব নরেন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহাদান আব্বাসি নামে ওই শিশুটিকে খুন এবং খুনের যড়যন্ত্রে জড়িত অভিযোগে তার দুই জেঠতুতো দাদা আমানুল্লা আব্বাসি, নুর মহম্মদ এবং তাদের মা থুশরুবা বিবিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই পরিবারের সঙ্গে তাঁদের মাসছয়েকের পুরনো একটি বিবাদ রয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন শাহাদানের বাবা আউলিয়া আব্বাসি। কিন্তু সে কারণেই ছেলেকে খুন করা হল কিনা, সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নন। পুলিশের কাছে যথাযথ তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, শিশুটির ডান চোখ এবং শরীরের নানা স্থানে ক্ষত ছিল। খুনের মামলা রুজু করে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। শনিবার ধৃতদের হাওড়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। গ্রামবাসীদের একটা বড় অংশের সন্দেহ, আমানুল্লাই খুন করেছে। কারণ, তার সঙ্গেই শাহাদানকে শুক্রবার শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল। দোষীদের কড়া শাস্তি দাবি করেছেন তাঁরা।