মঙ্গলবারের টিকিয়াপাড়া। —ফাইল চিত্র।
টিকিয়াপাড়ায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল মঙ্গলবার বিকেলে। রাতেই রাজ্য পুলিশ টুইট করেছিল, যারা ওই ঘটনায় জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের সেই বার্তা রিটুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এর পর রাত থেকেই হাওড়া জেলার ওই এলাকায় পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। ওই ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক করে আরও কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সালকিয়া, টিকিয়াপাড়া, বেলিলিয়াস রোড এলাকায় তল্লাশি শুরু চলছে। বুধবার সকাল থেকে ওই সব এলাকার সিসিক্যামেরা এবং সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাছ চলছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক হাওড়াকে হটস্পট জোন হিসাবে চিহ্নিত করেছে। রাজ্যও হাওড়াকে রেড জোনের মধ্যে রেখেছে। বেলিলিয়াস রোড আবার ‘কন্টেনমেন্ট জোন’। ওই এলাকায় যাতে লকডাউন কড়া ভাবে মানা হয়, সে কারণে পুলিশি টহল চলছিল ওই এলাকায়। কিন্তু, লকডাউন না মেনে বাইরে বেরিয়ে পড়ছিলেন অনেকে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলতেই ওই দিন দুপুরে তর্ক বেধে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। এর পরই শুরু হয় হামলা। মার খেতে হয় পুলিশকে। এমন কী র্যাফ এবং কমব্যাট ফোর্স উত্তেজিত জনতার লক্ষ্য হয়ে ওঠে। টিকিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির পাশাপাশি তাদের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক পর্যায়ের কোভিড আক্রান্তদের বাড়িতে থাকা কতটা নিরাপদ?
আরও পড়ুন: নোটবন্দিতেও চালু ছিল বিনিময় প্রথা, লকডাউনে সে সব বাতিল বাঁকুড়ায়
এর পরেই প্রশাসনের শীর্ষস্তর থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে নির্দেশ আসে পুলিশের কাছে। রাত থেকেই শুরু হয় অভিযান। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও টুইট করে জানিয়েছেন, হাওড়ার ঘটনায় রাজ্য প্রশাসন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
বিরোধীরাও ওই হামলার ঘটনা এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। অভিযুক্তরা যাতে ছাড়া না পান, সেই দাবিও জানাচ্ছেন। বিজেপির তরফে এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, “যে ভাবে পুলিশের উপর একদল মানুষ চড়াও হল, অত্যন্ত নিন্দনীয়। কোনও এলাকায় পুলিশ সক্রিয়, কোনও এলাকায় নেই। তাই লকডাউন কোথাও পালন হচ্ছে। কোথাও হচ্ছে না। টিকিয়াপাড়ার ঘটনায় পুলিশের উপর ঘটনা দুঃখজনক ঘটনা।”
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “পুলিশ তাঁর দায়িত্ব পালন করছিলেন। সোশাল ডিসটেনসিং মেনে চললে সবার উপকার হবে। লকডাউন যাঁরা ভাঙছে। তাঁদের অপরাদ সীমাহীন।”
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, “পুলিশ নিজের কাজ করছিল। মারধর করা হয়েছে। ঘটনাটি একদমই ভাল হয়নি।”