Prostitution

‘যৌন ব্যবসা’ জোর করে, গাড়ি থেকে নেমে দৌড়

পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানার পুলিশ জানায়, বছর ষোলোর মেয়েটির বাড়ি নদিয়ার তেহট্টে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২১ ০৬:৪০
Share:

দুর্গাপুর আদালত চত্বরে গ্রেফতার হওয়া দম্পতি। নিজস্ব চিত্র

টোলপ্লাজ়ার কাছে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়চ্ছিল কিশোরী। পুলিশ উদ্ধার করার পরে সে অভিযোগ করে, ভাল চাকরির লোভ দেখিয়ে নিয়ে এসে যৌন ব্যবসা করানো হচ্ছিল তাকে। দুর্গাপুর থেকে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বর্ধমানের দিকে। শনিবার ভোরে মেয়েটিকে উদ্ধারের পরে তাকে যৌন ব্যবসায় নামানোর অভিযোগে দুর্গাপুরের বেনাচিতির অরবিন্দপল্লি থেকে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানার পুলিশ জানায়, বছর ষোলোর মেয়েটির বাড়ি নদিয়ার তেহট্টে। পুলিশকে সে জানিয়েছে, সেখানে একটি বিউটি পার্লারে কাজ করার সময়ে ফোনে এক যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তার অভিযোগ, ওই যুবক ভাল চাকরির লোভ দেখিয়ে দিন কুড়ি আগে তাকে বর্ধমানে নিয়ে আসে। চার-পাঁচ দিন পরে তাকে দুর্গাপুরে রবিশঙ্কর চুনাকর ও পিঙ্কি চুনাকর নামে ওই দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিশোরীর অভিযোগ, প্রায় ১৫ দিন ধরে তাকে দিয়ে দম্পতির বাড়িতে পরিচারিকার কাজ এবং বিভিন্ন হোটেল ও বিউটি পার্লারে পাঠিয়ে যৌন ব্যবসা করানো হচ্ছিল।

পুলিশের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে, শনিবার ভোরে ওই কিশোরীকে একটি গাড়িতে তুলে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল তিন জন। মেয়েটি পুলিশকে জানায়, বাঁশকোপা টোলপ্লাজ়ার কাছে ‘বমি পাচ্ছে’ জানিয়ে সে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়তে শুরু করে। তাকে দেখে উদ্ধার করে কাঁকসার ট্র্যাফিক পুলিশ। গাড়ি নিয়ে আরোহীরা চম্পট দেয়। পুলিশ জানায়, মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে শনিবার রাতে দুর্গাপুরের ভাড়াবাড়ি থেকে দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দম্পতি দীর্ঘদিন এলাকায় রয়েছেন। তবে তাঁদের সম্পর্কে বিশদ কিছু বলতে পারেননি বাসিন্দারা।

Advertisement

পুলিশ জানায়, কিশোরীর বাবা-মা কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে রবিবার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। তদন্তকারীরা জানান, অভিযুক্ত যুবক ও গাড়িতে থাকা তিন জনের খোঁজ চলছে। মেয়েটির কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হোটেল ও পার্লারগুলিতে অভিযান চালানো হবে বলে জানায় পুলিশ। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন, ‘‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে খুঁজে বার করে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’ চাইল্ডলাইনের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কো-অর্ডিনেটর সঞ্জয় সাহু বলেন, ‘‘শনিবারই আমরা মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছি। কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে। আইন মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement