ছবি: পিটিআই।
বাংলা থেকে জিতে আসা বিজেপি সাংসদদের উন্নয়নের পাঠ পড়াতে চান প্রধানমন্ত্রী।
বিজেপির শীর্ষ সূত্রের মতে, চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই বাংলার বিজেপি সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সময়ের অভাবে তা বাতিল হয়ে যায়। এর মধ্যেই মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো ভারত সফরে আসেন। সংসদের দুই সভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতাও ছিল। তার পরেই তাঁকে বিদেশে যেতে হয়। তাই দেশে ফেরার পর এই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা।
লোকসভার পরে বাংলার বিধানসভা ভোটই এখন বিজেপির লক্ষ্য। দলের এক নেতা আজ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী চান, যে ১৮ জন সাংসদ বাংলা থেকে জিতে এসেছেন, তাঁরা বিধানসভা ভোটের আগে নিজেদের কেন্দ্রে এমন উন্নয়ন করুন, যাতে অন্য কেন্দ্রের সঙ্গে ফারাকটা বোঝা যায়। লোকসভা নির্বাচনে কাজ দেখেই মানুষ বিজেপি-কে ভোট দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর উপরে বিরাট প্রত্যাশাও রয়েছে। সেই কাজটিই এ বার কেন্দ্র ধরে ধরে করতে হবে সাংসদদের। প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়টিই বোঝাতে চান বাংলার সাংসদদের।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
প্রধানমন্ত্রী এই সপ্তাহে সময় দিতে না পারলেও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বাংলার বিজেপি সাংসদদের নৈশভোজ-বৈঠক হয়েছে গত মঙ্গলবার। ভোটের আগে নির্মলাকেও বাংলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও সংগঠনের নেতা রামলাল।
সেই বৈঠকেও সাংসদদের বলা হয়, তাঁদের কেন্দ্রে কোথায় কী সমস্যা রয়েছে, উন্নয়নের আর কী কী কাজ করা যেতে পারে, তার সূচি তৈরি করতে। দল ও সরকারের মধ্যে যাতে সমন্বয়ের অভাব তৈরি না হয়, তা-ও সুনিশ্চিত করার আশ্বাস তাঁদের দেওয়া হয়েছে। বিজেপির এক নেতার মতে, পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়নের অনেক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাধা তৈরি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকারের অনেক প্রকল্প রাজ্যে চালু করতেও রাজি হননি তিনি। সেগুলির জট কাটানোর জন্য কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের কাছেও যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাংসদদের।
আজই বাংলার কয়েক জন বিজেপি সাংসদ রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের কাছে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে দরবার করেন। যেমন, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান, তাঁর কেন্দ্রে রেল প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করছে না রাজ্য সরকার। বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেলপথ করার দরকার। কিন্তু সেটি এখনও আটকে রয়েছে।