কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
নিজে উপভোক্তা হওয়া সত্ত্বেও মেলেনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি। অথচ, যাঁরা রাজ্যের গীতাঞ্জলি প্রকল্পে আগেই বাড়ি পেয়ে গিয়েছেন, তাঁদের নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায়! এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, এই বেনিয়মের তদন্ত সিবিআই করুক। আদালতের নজরদারিতেই হোক সেই তদন্ত।
উচ্চ আদালতে যিনি এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন, তাঁর নাম অশ্বিনীকুমার মাইতি। অশ্বিনী আদালতে জানিয়েছেন, তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি-১ ব্লকের বাসিন্দা। তিনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। এর পরেই তিনি খেজুরি-১ ব্লকের বিডিওর কাছে তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উপভোক্তাদের নাম জানতে চান। ২০২১ সালে সেই আবেদন করেন তিনি। গত বছর ৩ জানুয়ারি বিডিও অফিস থেকে সেই তালিকা পাঠানো হয়। তালিকাটি ২০২১-’২২ অর্থবর্ষের। অশ্বিনীর বক্তব্য, সেই তালিকা থেকে জানতে পেরেছেন, যাঁরা উপযুক্ত উপভোক্তা নন, তাঁরাও ওই প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু তিনি পাননি। তাঁর দাবি, রাজ্যের গীতাঞ্জলি প্রকল্পের উপভোক্তাদের নামও ওই তালিকায় রয়েছে। যা নিয়মবিরুদ্ধ। মৃত ব্যক্তিও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উপভোক্তা এবং তিনি প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থও পেয়েছেন বলে পিটিশনে দাবি করেছেন অশ্বিনী।
মামলাকারীর অভিযোগ, এই ‘বেনিয়মের’ ব্যাপারে সব জানতেন বিডিও এবং খেজুরি-১ ব্লকের অন্তর্গত হেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা নায়েক। এই পরিস্থিতিতে আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অশ্বিনী। পাশাপাশি তাঁর দাবি, জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হোক, তিনি যাতে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ করেন। আগামী ২০ নভেম্বর অর্থাৎ সোমবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে।