বর্ধমানে শিক্ষামূলক ভ্রমণে দার্জিলিঙের জনপ্রতিনিধিরা। —নিজস্ব চিত্র।
দু’দশক পর পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হলেও উন্নয়ন থমকেই রয়েছে। দ্বিস্তর পঞ্চায়েতে কী ভাবে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হয়, সে ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণাই নেই জনপ্রতিনিধিদের অনেকের! এই পরিস্থিতিতে কাজ শিখতে সমতলে নেমে এলেন দার্জিলিঙের পঞ্চায়েত সদস্যেরা।
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে নদিয়ার কল্যাণীতে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। সেই শিবিরে যোগ দিয়েছেন দার্জিলিং জেলার ৫৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁরা কেউ পুলবাজার, কেউ কার্শিয়াং, কেউ আবার মিরিক ব্লকের জনপ্রতিনিধি। ২০০১ সাল থেকে পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন বন্ধ ছিল। গত বছর সেখানে দ্বিস্তর পঞ্চায়েতের (গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি) ভোট হয়েছে। ভোটে জিতে যাঁরা প্রধান, উপপ্রধান হয়েছেন, তাঁরাই যোগ দিয়েছেন কল্যাণীর শিবিরে।
শিক্ষামূলক ভ্রমণে শনিবার তাঁদের পূর্ব বর্ধমানে নিয়ে আসা হয়। প্রথমে তাঁদের বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের কুড়মুন ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে খোঁজখবর নেন জনপ্রতিনিধিরা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, শিশু উদ্যান, কঠিন বর্জ্য পদার্থের নিষ্কাশনের কাজ কী ভাবে চলে, তার খুঁটিনাটি বিষয় দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন তথ্যও সংগ্রহ করেন তাঁরা। তার পর তাঁরা যান নবস্থা ২ নম্বর পঞ্চায়েত অফিসে। সেখানে তারা কাজকর্মের হালহকিকত সরজমিনে দেখেন। শেষে পাহাড়ের জনপ্রতিনিধিরা যান বড়শুল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়শুল জুনিয়র বেসিক স্কুলে।
পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দফতরের আধিকারিক সুপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কল্যাণীতে বিআর অম্বেডকর পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শিবিরে পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে শিবির বসেছে। এর আগে দার্জিলিঙের ৩৫ জন জনপ্রতিনিধি কল্যাণীতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তাঁরাও মেমারি ১ ব্লকে গিয়ে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম সরেজমিনে দেখে গিয়েছিলেন।’’