প্রতীকী ছবি।
রেশন ব্যবস্থায় নতুন পদক্ষেপ করল রাজ্য। এ বার ডিজিটাল রেশন কার্ড পেতে চলেছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা। বৃহস্পতিবার তেমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দফতর।
কলকাতা এবং আশেপাশের জেলায় প্রায় ৫৭০০ তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ রয়েছেন। কোভিড-১৯ পর্বে রোজগারে টান পড়েছে তাঁদেরও। ডিজিটাল রেশন কার্ড থাকায় অনেক তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু খাদ্য দফতরের কাছে খবর যায়, তৃতীয় লিঙ্গের অনেকেরই রেশন কার্ড নেই। তাঁদের অবশ্য ভোটার পরিচয়পত্র (এপিক) বা আধার রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজন যাতে তাড়াতাড়ি রেশন কার্ড পান, তার জন্য সক্রিয় ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে জেলাগুলির কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছে খাদ্য দফতর।
বর্তমান নিয়মানুযায়ী, ডাকের মাধ্যমে ডিজিটাল রেশন কার্ড হাতে পাবেন সংশ্লিষ্ট গ্রাহক। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরাও সে ভাবেই কার্ড পাবেন। বর্তমান প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আগামী কয়েক মাসে হয়তো ছাপানো কার্ড ডাকের মাধ্যমে পেতে দেরি হতে পারে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের। তার ফলে যাতে খাদ্যসামগ্রী পেতে অসুবিধায় না পড়েন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা। তাই যাঁরা ডিজিটাল রেশন কার্ড প্রাপক হিসেবে বিবেচিত হবেন, তাঁদের জন্য খাদ্যসাথী ফুড কুপনের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দফতর। আর যত দিন না পর্যন্ত ডিজিটাল কার্ড হাতে পাবেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা, তত দিন এই ফুড কুপনের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী পাবেন তাঁরা। এই প্রক্রিয়াটি চলতি মাসেই শেষ করতে চায় খাদ্য দফতর।
তবে এ ক্ষেত্রে যাঁদের আবেদন কোনও কারণে বাতিল হবে, তাঁদের জন্য খাদ্যসাথী স্পেশ্যাল ফুড কুপনের ব্যবস্থা করবে সরকার। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত তার মেয়াদ থাকবে। আর এই জুন পর্যন্ত গ্রাহকেরা বিনামূল্যে রেশন পাবেন বলে আগেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য আলাদা রেশন কার্ডের বন্দোবস্ত এই প্রথম বলে জানাচ্ছেন এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যদিও খাদ্য দফতরের যুক্তি, এর সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। কেউ যেন অভুক্ত না-থাকে সেটা নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য।