ফাইল চিত্র।
সরাসরি কলকাতার উড়ান না-থাকায় স্ত্রী এবং পাঁচ বছরের ছেলেকে ফেরত পাঠাতে পারছেন না অরিজিৎ ঘোষ। তাঁদের নিয়ে আটকে আছেন দুবাইয়ে। স্ত্রীর দ্রুত চিকিৎসা দরকার, তবু দোহা থেকে সুব্রত কর তাঁকে কলকাতায় পাঠাতে পারছেন না একই কারণে। অরিজিৎ জানান, চার্টার্ড বা ভাড়া করা উড়ানে দু’লক্ষ টাকা খরচ করে স্ত্রী-পুত্রকে ফেরত পাঠানো সম্ভব নয়। আর সুব্রত সোমবার দোহা থেকে ফোনে বললেন, “বেসরকারি উড়ান সংস্থা জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এমন সব কড়া শর্ত দিয়েছে, সেটা মেনে কারও পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়।”
আটকে পড়া ভারতীয়দের আনতে কেন্দ্রের বন্দে ভারত উড়ান দেশের অন্য শহরে আসছে নিয়মিত। বাদ শুধু কলকাতা। কিছু যাত্রী নিভৃতবাসের নিয়ম না-মানায় রাজ্য সরকার কলকাতায় বন্দে ভারতের উড়ান বন্ধ করে দেয়। রাজ্য সম্প্রতি জানায়, বিদেশ থেকে বিমান ভাড়া করে আসা যাবে ১০ অগস্টের পরে। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত একটিও ভাড়ার উড়ান কলকাতায় আসেনি। বিমানবন্দরকে জানানো হয়, দুবাই, মাসকট, কুয়েত থেকে ভাড়া করা বিমান আসবে। কিন্তু তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। আজ, মঙ্গলবার কুয়েত থেকে আটক যাত্রীদের নিয়ে ‘গো এয়ার’-এর একটি ভাড়া করা উড়ানের আসার কথা।
ট্রাভেল এজেন্টরা জানান, প্রচুর খরচ বলে ভাড়ার বিমানে আসতে চাইছেন না অনেকে। এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা অঞ্জনি ধানুকা জানান, কলকাতা থেকে লন্ডন গিয়ে ভাড়ার বিমানে ফেরার খরচ প্রায় তিন কোটি। এজেন্ট ফেডারেশনের কর্তা অনিল পাঞ্জাবির কথায়, তাই যাত্রীরা অপেক্ষা করাই পছন্দ করছেন। কলকাতার উড়ান সংস্থাগুলিকে নিয়ে তৈরি এয়ারলাইন্স অপারেটিং কমিটি, ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং ফেডারেশন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বন্দে ভারত চালুর অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তার জবাব এখনও মেলেনি।