ফাইল চিত্র।
এত দিন পুরসভা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্পেশাল স্পনসরড স্কুলগুলির ক্ষেত্রেও কলকাতায় ফাইল পাঠিয়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন চালু করার অনুমোদন নিতে হত। এ বার জেলাতেই পেনশন ফাইলের পরীক্ষা হবে এবং তা ই-পেনশন পোর্টালে তুলে দেওয়ার অধিকার জেলার অফিসারদের দিয়েছে অর্থ দফতর। তাতে লক্ষাধিক কর্মী উপকৃত হবেন বলে অর্থকর্তারা জানাচ্ছেন।
দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ই-পেনশন পোর্টাল চালু হয়েছিল প্রায় তিন বছর আগে। তা সত্ত্বেও বহু সরকারি সংস্থার কর্মীদের অবসরের পরে পরেই পেনশন পেতে সমস্যা হচ্ছিল। সেই সব জটিলতা কাটিয়ে অবসরের পরের মাসেই পেনশন দিতে এ বার জেলায় পেনশন ফাইলের নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা চালু করছে অর্থ দফতর।
সল্টলেকের ডিরেক্টরেট অব পেনশন অফিস থেকে সব কর্মীর পেনশন ফাইলের অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই প্রক্রিয়ার সরলীকরণের জন্য ই-পেনশন পোর্টাল চালু হয়েছিল ২০১৭-র এপ্রিলে। পরবর্তী কালে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের কর্মীদেরও এর আওতায় আনা হয়। তাতে সরকারি কর্মীদের অবসরকালীন সুবিধা এক মাসের মধ্যেই দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু সংস্থার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়ে গিয়েছিল। কারণ, পেনশনের আবেদন খুঁটিয়ে দেখার জন্য ওই সংস্থাগুলির নিজস্ব কোনও অডিট বা ফিনান্স অফিসার ছিলেন না। সেই জন্য স্কুল ডিরেক্টরেটের অধীনে জেলার ডিআই অফিসগুলিতে কর্মরত ডিরেক্টরেট অব অ্যাকাউন্টসের কন্ট্রোলার অব ফিনান্স অফিসে কর্মরত নিরীক্ষকদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই অফিসারেরা শিক্ষা দফতরের অধীনে কাজ করেন। তবু তাঁদেরই রাজ্যের ১২৬টি পুরসভা, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত গ্রন্থাগার, বিশেষ সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির কর্মীদের পেনশন ফাইল নিরীক্ষার অধিকার দিয়েছে অর্থ দফতর।
এ ছাড়া রাজ্যের সব আইটিআই, হাতেকলমে শিক্ষার প্রতিষ্ঠান, এইচআরবিসি, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের মতো ২৬টি অধীন সংস্থার কর্মীদের পেনশন ফাইলও এ বার সংশ্লিষ্ট জেলায় চূড়ান্ত অনুমোদনের পরে ই-পোর্টালে উঠে যাবে। ফলে লক্ষাধিক কর্মীর পেনশন পেতে সুবিধা হবে বলে অর্থ দফতরের কর্তাদের দাবি।