ফাইল চিত্র।
প্রতারণার মামলায় দিল্লির সুন্দরনগরের বাসভবন থেকে জেসপের কর্ণধার পবন রুইয়াকে শনিবার গ্রেফতার করল সিআইডি। এ দিনই তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে বলে সিআইডি সূত্রে খবর। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
গত নভেম্বর মাসে রেলের ডেপুটি ডিরেক্টর স্টোরের তরফ থেকে দমদম থানায় রুইয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এ দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
রেলের অভিযোগ ছিল, জেসপকে যন্ত্রাংশ তৈরির কাঁচামাল দেওয়া হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে বরাত দেওয়া হয় ৫০ কোটি টাকা। কিন্তু জেসপ রেলের সেই চুক্তি ভঙ্গ করেছে। এমনকী টাকাও ফেরত দেয়নি। তাই রুইয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করে রেল।
আরও খবর: এক ঘোষণায় জোড়া বাজ ঢালি পরিবারে
জেসপে অগ্নিকাণ্ড নিয়েও রুইয়াকে পাঁচ বার নোটিস দেয় সিআইডি। কিন্তু তিনি কোনও বারই দেখা করেননি তদন্তকারীদের সঙ্গে। দুর্গাপুজোর পর পরই জেসপে আগুন লাগে। বহু যন্ত্রাংশ পুড়ে যায়। কী ভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। একটি ফরেন্সিক দলও ঘটনাস্থলে যায়। তদন্তে উঠে আসে অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব। শুধু তাই নয়, দেখা যায় কারখানার ভিতরে যে সব যন্ত্রাংশ ছিল তার প্রায় অধিকাংশই খোওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীরা যখন জেসপের শীর্ষ আধিকারিকদের ডেকে পাঠান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য, কেউই সদুত্তর দিতে পারেনি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এবং যন্ত্রাংশ গায়েব হয়ে যাওয়ার পিছনে একটা বড় চক্র যে কাজ করছে সেটা বুঝতে অসুবিধা হয়নি তদন্তকারীদের।
চুরির তত্ত্ব সামনে আসতেই জেসপ পরিদর্শনের জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দেন রেলওয়ে স্টোর ডিপার্টমেন্টের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর। সেই অনুমতিও মেলে। সিআইডি এবং রেলের আধিকারিকরা কারখানার ভিতরে যন্ত্রাংশের খতিয়ান নিতে গিয়ে দেখেন অধিকাংশ যন্ত্রাংশই চুরি হয়ে গিয়েছে। তার পরই রেলের তরফ থেকে একটি মামলা করা হয় রুইয়ার বিরুদ্ধে।