আলিপুরদুয়ারে দলীয় কর্মাদের পরিবারের পাশে সুজন চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র
জেল ভরো আন্দোলনে শামিল সিপিএমের তেরোজন নেতা-কর্মীর জামিন খারিজ করে দিল আলিপুরদুয়ার আদালত৷ তাদের তিনদিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক৷ তবে আদালত এ দিন একজনের জামিন মঞ্জুর করেছে৷
গত ৯ জুলাই রাজ্যের সব জেলাতেই জেল ভরো আন্দোলনে শামিল হয় সিপিএমের কৃষক সংগঠন সারাভারত কৃষক সভা৷ ডুয়ার্সকন্যার সামনে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়৷ আন্দোলনকারীদের ছোড়া পাথরে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হন বলে অভিযোগ৷ পাল্টা পুলিশের লাঠির আঘাতেও আন্দোলনকারীদের অনেকে জখম হন বলেও অভিযোগ ওঠে৷
ঘটনাস্থল থেকে ১০৩ জন আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ যাঁদের মধ্যে থানা থেকেই ৮১ জন জামিনে ছাড়া পান৷ বাকি ২২ জনের মধ্যে সাতজন পরদিন আদালতে জামিন পান৷ পরবর্তীতে গত ১৭ অগস্ট আরও একজন জামিনে ছাড়া পান৷ বাকি চোদ্দোজনকে মঙ্গলবার ফের আদালতে তোলা হয়৷ অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী সোমশংকর দত্ত বলেন, এ দিন আদালত একজনের জামিন মঞ্জুর করেছে৷ বাকি তেরোজনকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ ২৪ অগস্ট ফের তাঁদের আদালতে পেশ করা হবে৷
এ দিন দুপুরে আলিপুরদুয়ারে আসেন রাজ্য বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী৷ দলীয় পার্টি অফিসে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে যাওয়া নেতা-কর্মীদের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷
সুজনবাবু বলেন, “রাজ্যে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে৷ যারা মানুষর পক্ষে লড়াই করছেন, তাদের জেলে পোড়া হচ্ছে৷” জেল হেফাজত হওয়া প্রত্যেকের পাশে দল রয়েছে বলে, জানান সুজনবাবু৷