প্রতীকী ছবি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনও উত্তরকন্যায় রয়েছেন। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে এনজেপি-র স্থলবন্দরে কর্মী নিয়োগ নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল। অভিযোগ উঠল স্থলবন্দরের কর্মী, অফিসারদের মারধরের। স্থানীয়রা এমনকি ৮-১০ রাউন্ড গুলি চলারও অভিযোগ করেছেন। যদিও এই দাবি পুলিশ মানতে চায়নি। পুলিশ সূত্রের খবর, ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে স্থলবন্দরে থাকা কেন্দ্রের শুল্ক দফতরে। কোটি টাকার যন্ত্র, মোটরবাইক, গাড়িও ভাঙা হয়েছে। অভিযোগের তির আইটিএনটিটিইউসি নেতা প্রসেনজিৎ রায় ও তাঁর গোষ্ঠীর দিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, এনজেপি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রসেনজিৎ-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে টাকা লুট, খুনের চেষ্টা, ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগ করেছেন। রাত পর্যন্ত ৬ জন গ্রেফতার।
দলীয় সূত্রের খবর, স্থলবন্দরে শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই সেখানকার দুই আইএনটিটিইউসি এনজেপি ইউনিটের সভাপতি প্রসেনজিৎ রায় ও ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি ব্লক (গ্রামীণ) আইএনটিটিইউসি সভাপতি সুকান্ত করের গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। প্রসেনজিতের অভিযোগ, ‘‘স্থলবন্দরে বাইরে থেকে শ্রমিক এনে কাজ করানো হচ্ছে। সকালে যখন আমাদের লোকজন বিক্ষোভ দেখায়, তখন ভিতর থেকে পাথর ছোড়া হয়। ৮-১০ রাউন্ড গুলিও চলে।’’
যদিও টি-পার্ক ও স্থল বন্দরে থাকা কর্মীদের অভিযোগ, সকালে প্রসেনজিৎ রায় কয়েকশো লোকজন নিয়ে সেখানে হাজির হন। অধিকাংশের হাতে বাঁশ, লোহার হুক, ইট-পাথর ছিল বলে দাবি। কর্মীদের অভিযোগ, এই লোকজন এর পরে অফিসে ভাঙচুর চালায়, স্থলবন্দরে সেই সময়ে থাকা গাড়ির চালক, সংস্থার কর্মীদের মারধর করে। গুরুতর জখম হন ৪ জন। খবর পেয়ে এনজেপি থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লাঠিচার্জও করতে হয়।
প্রশাসন সূত্রে খবর, গোলমালের খবর কয়েক কিলোমিটার দূরে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও পৌঁছয়। এর পরই পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের ধরার নির্দেশ আসে। এসিপি (পূর্ব) শুভেন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘পুলিশ যা ব্যবস্থা নেওয়ার, নিয়েছে।’’ স্থলবন্দরের অধিকর্তা সঞ্জয় মারওয়ারের কথায়, ‘‘কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করা হয়েছে। এমন করলে এখানে কে ব্যবসা করতে আসবে!’’