—ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টে আবার পিছিয়ে গেল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি। বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে ইডি বনাম পার্থের এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে উপস্থিত না-থাকায় শুনানির দিন আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশ, পরবর্তী শুনানিতে ইডিকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে হবে। অন্য দিকে, নিয়োগ মামলায় বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যেরও জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত।
গত বছর পুজো জেলেই কেটেছে পার্থের। বুধবার জামিনের আর্জির শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার অর্থ, এ বারও তাঁর পুজো জেলেই কাটতে চলেছে। পার্থকে ২০২২ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার করেছিল ইডি। ২৩ জুলাই রাতে গ্রেফতার হওয়ার ১৩ মাস পর জামিন চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পার্থ। কিন্তু ইডি সেই জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে পাল্টা আবেদন করে। এই মামলায় গত মাসেই এক বার শুনানি পিছিয়েছিল।
আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি পার্থ। নিম্ন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ইডি এবং সিবিআইয়ের আনা অভিযোগের শুনানিও চলছে। ইতিমধ্যে সেখানেও বহু বার জামিনের আবেদন করেছেন পার্থ। সম্প্রতি দিল্লি থেকে পার্থের হয়ে সওয়াল করতে এসেছিলেন ইডিরই এক প্রাক্তন আইনজীবী। পার্থের দাবি ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কও নেই। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। হাই কোর্টেও এই একই আর্জি নিয়ে মামলা করেছেন পার্থ।
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে জামিন দিয়েছে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চ। নিয়োগ মামলায় সেটিই ছিল প্রথম জামিন। তার পর থেকেই নিয়োগ মামলায় অভিযুক্তেরা জামিনের ব্যাপারে আশান্বিত। বিচারপতি ঘোষের এজলাসে দায়েরও হয়েছে অনেকগুলি মামলা। মামলা করেছিলেন মানিকের ছেলে শৌভিকও। যদিও তাঁর আর্জি খারিজ করে দিল আদালত। শৌভিকের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি।