ভুবনেশ্বর এমসের পথে পার্থ। ছবি: সংগৃহীত।
বৃষ্টির মধ্যে সকাল সকাল এসএসকেএমে শুরু হয়েছিল তৎপরতা। আদালতের নির্দেশ মেনে ইডির হেফাজতে থাকা ‘অসুস্থ’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পাঠাতে হবে ভুবনেশ্বর এমস। মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার ব্যবধান। তার মধ্যেই বাংলার রাজধানী থেকে ওড়িশার রাজধানী পৌঁছে যান পার্থ। এই যাওয়ার পথে মাত্র কয়েক মুহূর্ত পার্থের সামনাসামনি হওয়ার সুযোগ মেলে সংবাদমাধ্যমের। মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, কেমন আছেন তিনি।
গত শনিবার ইডির হাতে গ্রেফতার ইস্তক যে কয়েক বার সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে পড়েছেন, অল্প বলেছেন তৃণমূল মহাসচিব। সোমবার ওড়িশায় গিয়েও কিছুই বললেন না। সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনলেন। ঘাড় নেড়ে শুধু আলতো ভাবে বুকে হাত রাখলেন। পার্থ ইশারায় বোঝালেন, শরীরটা ভাল নেই।
প্রসঙ্গত, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গত শনিবার পার্থকে এসএসকেএম পাঠানোর নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। কিন্তু ইডির দাবি, মন্ত্রী ‘সম্পূর্ণ ফিট’। তাঁকে যে দু’দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশের পরও কেন এসএসকেএমে ভর্তি করারও কথা বল হল, তা নিয়ে ‘অসন্তুষ্ট’ কেন্দ্রীয় সংস্থা মামলা করে কলকাতা হাই কোর্টে। পার্থ সুস্থ নাকি অসুস্থ, রবিবার এ নিয়ে দীর্ঘ সওয়াল-জবাব চলে ইডি বনাম মন্ত্রীর আইনজীবীদের। শেষমেশ বিচারপতি বিবেক চৌধুরী নির্দেশ দেন,সোমবার ভোরে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে যেতে হবে।
পাশাপাশি, এমস ভুবনেশ্বরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কার্ডিয়োলজি, নেফ্রোলজি, মেডিসিন, এন্ড্রোক্রিনোলজি বিভাগের চিকিৎসক দিয়ে দল তৈরি থাকতে হবে। তাঁরা পার্থর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। সোমবার বিকেল ৩টের মধ্যে এমস ভুবনেশ্বরকে পার্থর শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে রিপোর্ট দেওয়া এবং রিপোর্টের প্রতিলিপি তদন্তকারী আধিকারিক, এসএসকেএম হাসপাতাল এবং পার্থের আইনজীবীকে দেওয়ার নির্দেশ আদালতের। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে পার্থের শারীরিক পরীক্ষা।