—ফাইল চিত্র।
পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব থেকে শুরু করে নানা সমস্যার কথা উঠেছিল উত্তরবঙ্গে উপাচার্য-অধ্যক্ষদের সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক বৈঠকে। এ বার দক্ষিণবঙ্গেরও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার সল্টলেকের পূর্বঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সেই বৈঠক হওয়ার কথা।
কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর অপ্রতুলতা নিয়ে সারা রাজ্যেই অধ্যক্ষদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম (সিবিসিএস) বা পছন্দসই মিশ্রপাঠ নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষা সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীর সামনেই বেশ কয়েক জন অধ্যক্ষ বিভিন্ন সমস্যার কথা তোলেন। অনেক কলেজই টিচার-ইনচার্জদের দিয়ে পরিচালনা করতে হচ্ছে। সেগুলিতে অধ্যক্ষ নিয়োগের উদ্যোগ চলছে বলে সেই বৈঠকে জানান শিক্ষামন্ত্রী। কিছু কলেজে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশি, কিছু কলেজে কম। ভারসাম্য থাকছে না। তাই কলেজগুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতে বলা হয়েছে বলে শিলিগুড়ির বৈঠকে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, অতিরিক্ত পড়ুয়া ভর্তি করা চলবে না।
কলকাতার একটি কলেজের অধ্যক্ষ জানালেন, সিবিসিএস পদ্ধতি চালু করায় আরও বেশি করে শিক্ষকের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। সিবিসিএসের মূল কথাই পড়ুয়াদের পছন্দের বিষয় পড়ার সুযোগ দেওয়া। তার জন্য বিষয়-বৈচিত্র থাকা দরকার। কিন্তু বেশি বিষয় তখনই চালু করা যায়, যখন ওই সব বিষয় পড়ানোর শিক্ষক থাকেন। কলেজগুলিতে এখন এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকের অভাবে অনেক বিষয়ই চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্য এক অধ্যক্ষের অভিজ্ঞতা, সিবিসিএস চালু হওয়ার পরে ক্লাসের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। বছর শুরু হয়ে গেলেও ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলিতে প্রায় ক্লাসই হয়নি বলে জানান তিনি। শুধু পরীক্ষাই হয়ে চলেছে। হয় সিমেস্টার পরীক্ষা, নয়তো সাপ্লিমেন্টারি। ওই অধ্যক্ষের দাবি, সিমেস্টার পরীক্ষার পরে, ক্লাস শুরুর ১৫ দিনের মধ্যেই পরের সিমেস্টারের ফর্ম পূরণের পালা শুরু হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষকদের ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে নজরদারি চালানো আর পরীক্ষার খাতা দেখার কাজে।
আরও পড়ুন: গবেষণার জন্য আন্টার্কটিকায় যাদবপুরের প্রাক্তনী
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আজকের বৈঠকে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর অপ্রতুলতার পাশাপাশি সিবিসিএস নিয়েও আলোচনা করতে চান অধ্যক্ষেরা।