টানা প্রায় আট ঘণ্টা ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ফাইল চিত্র।
ইডির তল্লাশি অভিযান চলাকালীন ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়লেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, নাকতলার বাড়িতে চিকিৎসকদের ডেকে পাঠান পার্থর আইনজীবী।
একটি সূত্রের খবর, এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা পার্থর বাড়িতে গিয়েছেন। এমনও শোনা যাচ্ছে, পার্থর ইসিজি করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিকেলে পার্থর বাড়ি থেকে তিন চিকিৎককে বেরোতে দেখা যায়। তবে, শুক্রবার এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রী বা ইডির তরফ থেকে এ নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
শুক্রবার দুপুরে হাইকোর্টের এক আইনজীবীকে পার্থের বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তার দশ মিনিটের মধ্যেই তিনি বেরিয়ে যান। বেরোনোর সময় তিনি কিছু বলতে চাননি। তবে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন, মন্ত্রী ভাল আছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে প্রায় আট ঘণ্টা ধরে নাকতলায় শিল্পমন্ত্রীর বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা। এসএসসি মামলায় দুর্নীতির তদন্তেই পার্থর বাড়িতে ইডির হানা বলে খবর। দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে অভিযান বলে জানা গিয়েছে।
অতীতে এই মামলায় সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন পার্থ। তবে এ বার প্রথম ইডির তদন্তের মুখে পড়লেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। সূত্রের খবর, পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।
পার্থর পাশাপাশি পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হার বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছে ইডি। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেখলিগঞ্জের বাড়ি-সহ রাজ্যের ১৩টি জায়গায় ইডি হানা দিয়েছে বলে খবর।
ইডির হানা প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘ইডির তৎপরতা আগে কখনও দেখিনি। রাজনৈতিক নেতাদের হেনস্থা করা বিজেপির হাতিয়ার। বাংলায় বিজেপির কিছু নেই। বাংলার বিজেপির শক্তি ইডি। গত কাল আমরা কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছি। লড়াই শুরু হয়েছে। তাই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।’’ এর পাল্টা বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘‘নারদা-সারদা থেকে দেখছি, বাংলায় যে ভাবে সীমাহীন দুর্নীতি চলছে, তাতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও আমরা লজ্জিত। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সে ভাবেই এগোচ্ছে তদন্ত। তাতে অনেকে চিন্তা করছেন। কেউ কাল লোক জমায়েত করে চোখ রাঙাচ্ছেন, হুমকি দিচ্ছেন। চুরিও করবেন, চোখ দেখাবেন, দুটো তো হতে পারে না। যার যার নাম শোনা গিয়েছে, প্রত্যেক জায়গায় তল্লাশি করা উচিত। সমস্ত অভিযোগের বিচার হওয়া উচিত।’’