শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বসন্তোৎসবের আয়োজন নিয়ে বিশ্বভারতীর ভূমিকায় তিনি যে ক্ষুব্ধ, তা আবার স্পষ্ট করে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, ‘‘যে-ভাবে বলা হচ্ছে প্রশাসনিক সহযোগিতা করলে আমরা (বিশ্বভারতী) বসন্তোৎসব করব, তাতে কোথাও হুমকির সুর শুনতে পাচ্ছি। এটা ঠিক নয়।’’
মঙ্গলবার পার্থবাবু বোলপুরে বলেন, ‘‘প্রতি বছর যেখানে বিশ্বভারতী বসন্তোৎসব আয়োজন করে, সেখানে এ বছর আচমকা কেন সাহায্য এবং নিরাপত্তার প্রশ্ন তোলা হচ্ছে? প্রশাসন তো প্রতি বছরই বিশ্বভারতীকে এই উৎসব আয়োজনে সহযোগিতা করে।’’
গত বছর বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষিতে এ বছর দোলের আগেই বসন্তোৎসব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ জানুয়ারি একটি বৈঠকে বিশ্বভারতী সিদ্ধান্ত নেয়, রাজ্য সরকার ‘প্রশাসনিক সহযোগিতা’ করলে দোলের দিনেই উৎসব হবে। বসন্তোৎসব পরিচালনার জন্য ছ’জনের কমিটি তৈরি হয়। কমিটির সদস্যদের ১০ ফেব্রুয়ারির পরে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ারও কথা।
শিক্ষামন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে বলেছি যে-ভাবে বসন্তোৎসব দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, সে-ভাবেই করতে। স্থানীয় স্তরে প্রশাসনিক যা সাহায্য লাগবে, তা বিগত দিনগুলিতে যেমন পেয়েছেন, এ বছরেও পাবেন।’’
বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার এ দিনও বলেন, ‘‘প্রশাসনিক সহযোগিতা চেয়ে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তার উত্তর পাইনি। বসন্তোৎসব নিয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হবে। সেখানেই আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’’ তবে শিক্ষামন্ত্রীর ‘হুমকির সুর’ মন্তব্য নিয়ে তিনি প্রতিক্রিয়া দেননি।