বিনোদ কুমার। পরিবার সূত্রে প্রাপ্ত
পরপর বিকট শব্দ। অনেকে ভেবেছিলেন, বাজ পড়ছে। কেউ মনে করেছিলেন, হুলাপার্টির লোকেরা হয়তো পটকা ফাটাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর দেখা গেল, ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ লাইনের অস্ত্রাগার ভবনের ছাদ থেকে এক কনস্টেবল নিজের স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি ছুড়ে চলেছেন ক্রমাগত।
বৃহস্পতিবার যিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাঁর নাম বিনোদ কুমার। রাতে অবশ্য পরিজনেদের ডাকে নীচে নেমে আসেন পুরুলিয়ার কোটশিলা থানার গরয়াটাঁড় গ্রামের বাসিন্দা বিনোদ। তাঁর ছোড়া গুলিতে কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, তা-ও জানানো হয়নি। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর বলেন, ‘‘ঘোরের মধ্যেই গুলি চালিয়েছেন বিনোদ। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’’ জানা গিয়েছে, নেশা করেন তিনি।
এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের কনস্টেবল বিনোদ তাঁর সেল্ফ লোডিং রাইফেল নিয়ে ছাদ থেকে রাস্তা লক্ষ করে গুলি চালাতে শুরু করেন। সে সময় ছাদে সেন্ট্রি পোস্টে আরও দু’জন পুলিশকর্মী ছিলেন। অস্ত্রাগারের একতলায় ছিলেন হেড কনস্টেবল। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই কনস্টেবলের কাছে ম্যাগাজিনে ৬০ রাউন্ড বুলেট রয়েছে।
আরও পড়ুন: উস্কানি দিয়েছে রাম, দাবি গ্রামবাসীদের
পুরুলিয়া থেকে বিনোদের বাবা রামনাথ কুমার ও স্ত্রী সোমা কুমারকে নিয়ে ঝাড়গ্রামে রওনা দেয় পুলিশ। রামনাথের কথায়, ‘‘ইদানীং কিছু বললে চুপচাপ থাকত বিনোদ। হঠাৎ গালিগালাজ করে ফোন কেটে দিত। নেশাও করতে শুরু করেছে।’’ বিনোদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। স্ত্রী সোমা বলেন, ‘‘সকালে মেয়ের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলে। তার পরে ফোনের লাইন কেটে দেয়। বিকেলে কথা হল। বলল, ঝাড়গ্রামে গেলে আমার হাতে বন্দুক তুলে দেবে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)