বহরমপুরে পিএসি-র বৈঠক— নিজস্ব চিত্র।
বহরমপুর শহরে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র তিন দিনের বৈঠকে জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। মঙ্গলবার বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনার গরহাজিরা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে পিএসি-র সদস্যেরা ‘বার্তা’ পাঠালে তড়িঘড়ি বৈঠকে উপস্থিত হন জগদীশ।
পিএসি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বৈঠকে পানীয় জল সংক্রান্ত আলোচনা চলছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুনীল গুপ্ত। বৈঠকে পিএসি সদস্যেরা জেলাশাসক কেন অনুপস্থিত, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপর সুনীলের ফোন পেয়ে জেল শাসক বৈঠকে উপস্থিত হন এবং মুর্শিদাবাদ জেলার পানীয় জল প্রকল্প-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
পিএসি-র চেয়ারম্যান তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এটি সংসদীয় ব্যবস্থার বৈঠক। জেলার এই প্রথম হচ্ছে। এখানে জেলাশাসককে উপস্থিত থাকতেই হবে। কারণ জেলার উন্নয়ন সমস্যা সব কিছু নিয়ে আলোচনা চলছে। তিনি প্রথমে অনুপস্থিত ছিলেন পরবর্তীতে কমিটির সদস্যরা নির্দেশ দেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে। তার পরেই জেলাশাসক উপস্থিত হন।’’
পিএসি সূত্রের খবর, গ্রামীণ ও শহর এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ কী করে করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয় মঙ্গলবারের বৈঠকে। পাশাপাশি, আর্সেনিক প্রবল এলাকা মুর্শিদাবাদ জেলাকে আর্সেনিক মুক্ত করতে কী ভাবে কাজ করা হবে সেই নিয়ে আলোচনা করা হয়। সমস্ত স্কুলে শৌচাগার নির্মাণ এবং বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় মাস্টার প্ল্যানের কাজ নিয়েও মঙ্গলবার আলোচনা হয়।
পিএসি-র চেয়ারম্যান অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘সংসদীয় ব্যবস্থার অন্যতম এই কমিটি। আমরা মুর্শিদাবাদ জেলার সার্বিক উন্নয়ন-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার আলোচনা করেছি বৈঠকে। পিএসি-র সদস্য এবং জেলার জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন বিষয়ে দাবি রেখেছেন।