প্রতীকী ছবি।
বিজেপিকে হারাতে রাজ্যভিত্তিক সমঝোতাই আদর্শ পথ বলে জানিয়ে দিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় ইস্তাহার কমিটির চেয়ারম্যান পি চিদম্বরম। তবে কোন রাজ্যে কংগ্রেস কার হাত ধরবে, সেই বিষয়ে এআইসিসি-ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে তাঁর মত। একই কথা আগেই বলেছে সিপিএম।
কলকাতায় এসে কর্নাটকে উপনির্বাচনের প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘দক্ষিণী ওই রাজ্যের মানুষ উপনির্বাচনে সুযোগ পেয়ে তাঁদের মনোভাব পরিষ্কার করে দিয়েছেন। কংগ্রেস-জে়ডিএস জোটের পক্ষে তাঁরা দাঁড়িয়েছেন। জোর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। কিন্তু ধাক্কা খেয়েও তারা কিছু ভাবছে বলে মনে হচ্ছে না! বিজেপি এবং আরএসএস বরং ফের হিন্দুত্বের রথের গতি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।’’ সারা দেশেই বিজেপিকে হারাতে তাঁরা কি মহাজোট গড়বেন? প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জবাব, ‘‘সারা দেশে মহাজোট হওয়া সম্ভব নয়। রাজ্যভিত্তিক জোটই বিজেপিকে হারানোর আদর্শ পথ। কর্নাটকে যেমন হয়েছে।’’ বাংলায় কি কংগ্রেস তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে পারে? চিদম্বরম বলেন, ‘‘তা তো বলিনি! জোটের প্রক্রিয়ার কথা বলছি শুধু। কার সঙ্গে কোথায় সমঝোতা হবে, এআইসিসি তা ঠিক করবে।’’ লোকসভা ভোটের পরে সরকার গড়ার মতো সংখ্যা থাকলে তখন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা হবে, সে কথাও ফের এ দিন উল্লেখ করেছেন চিদম্বরম।
নভেম্বর বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে লেনিনের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানানোর পরে একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের গলাতেও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মানুষ চাইছে বিজেপির অপশাসনের অবসান। কর্নাটকে উপনির্বাচনে কংগ্রেস-জেডিএস জোট গড়ে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করেছে। আসলে এটা সাধারণ মানুষের ঐক্যের ফসল। গোটা দেশেই এই ঐক্য অত্যন্ত জরুরি।’’ যেখানে প্রয়োজন, সেখানে কংগ্রেসকে সমর্থন দেওয়ার যে কৌশল সিপিএম নিয়েছে, সেই কথাই সূর্যবাবু কর্নাটকের উদাহরণ টেনে ফের বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রের ব্যাখ্যা।