তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে উলুবেড়িয়ায় পথ অবরোধে বিজেপি। — নিজস্ব চিত্র।
উপনির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্র। শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় রিগিং এবং বুথ দখলের অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল গঙ্গারামপুর এলাকা। ভোট লুঠের অভিযোগ তুলে পথ অবরোধও করলেন বিজেপি কর্মীরা। ভোটে অশান্তির খবর মিলেছে নোয়াপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকেও। তার প্রতিবাদে বারাসতে পথ অবরোধ করে বামেরা।
সোমবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই গোলমালের খবর আসতে শুরু করে বিভিন্ন এলাকা থেকে। বুথ দখল করে ব্যাপক ছাপ্পা দিচ্ছে তৃণমূল, অভিযোগ করা হয় বিজেপি এবং বামেদের তরফে। উলুবেড়িয়ার গঙ্গারামপুরে সংঘর্ষও শুরু হয়ে যায় বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে।
ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিজেপি উলুবেড়িয়ায় এ দিন পথ অবরোধও করে। দীর্ঘ ক্ষণ বন্ধ ছিল যান চলাচল। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। বিজেপি তফসিলি মোর্চার হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা কমিটির সভাপতি মোহন রানাকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ছেড়ে যাওয়া চেয়ারের খোঁজ চাইল গিনেস
উপনির্বাচন ঘিরে সোমবার দিনভর উত্তপ্ত থেকেছে উলুবেড়িয়া। —নিজস্ব চিত্র।
শুধু উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে নয়, নোয়াপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রেও সকাল থেকেই বুথ দখল, ভোট লুঠ এবং সন্ত্রাস শুরু হয়েছে বলে বিরোধী দলগুলির অভিযোগ। নোয়াপাড়ায় রিগিং-এর অভিযোগ তুলে বামেরা বারাসতে চাঁপাডালি মোড় অবরোধও করে। সিপিএম-এর অভিযোগ, উলুবেড়িয়ায় ৩৯১টি বুথে বাম এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি। বসলেও তুলে দেওয়া হয়েছে। আর নোয়াপাড়া অর্ধেকের বেশি বুথই সকাল ১০টার মধ্যে দখল হয়ে গিয়েছে বলে সিপিএম-এর অভিযোগ।
আরও পড়ুন: বিবেকানন্দের হিন্দু মুখ প্রচারে বিজেপি
বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষের পরে বিরাট পুলিশ বাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনী ঘটনাস্থলে। সোমবার উলুবেড়িয়ায়। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদের প্রয়াণে শূন্য হয়েছিল হাওড়ার উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্র। আর উত্তর ২৪ পরগনার নোয়াপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র শূন্য হয়েছিল কংগ্রেস বিধায়ক মধুসূদন ঘোষের প্রয়াণে। সেই কারণেই উপনির্বাচন হচ্ছে এই দুই আসনে। ভোট গণনা হবে ১ ফেব্রুয়ারি।