প্রতীকী ছবি।
আমপানের তাণ্ডবের পরে বহু জায়গায় মোবাইল ফোনের পরিষেবা কার্যত স্তব্ধ। অধিকাংশ এলাকায় নেট সংযোগ প্রায় নেই। ফলে বন্ধ অনলাইন ক্লাস। শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, অনলাইন ক্লাস বন্ধ হওয়ায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যারা সামনের বছর মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বা আইসিএসই, সিবিএসই-র বোর্ডের পরীক্ষা দেবে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের শিক্ষক সংগঠনের নেতা কিঙ্কর অধিকারী জানাচ্ছেন, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় অনলাইনে পড়ানোর প্রশ্নই নেই। ঝড়ের পরে ছাত্রদের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ঘূর্ণিঝড়ের পরে তারা কেমন আছে, তাদের বাড়ি ঘর ঠিক আছে কিনা, সেটাই জানতে পারছেন না শিক্ষকরা।
অনেক পড়ুয়া জানাচ্ছে, নেট সংযোগ মাঝে মধ্যে আসছে। কিন্তু টানা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ফোন ও ল্যাপটপ চার্জ করা যাচ্ছে না। নদিয়ার কল্যাণীর এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র কিংশুক বিশ্বাস বলে, ‘‘সামনের বছর উচ্চ মাধ্যমিক। খুব দরকার ছিল অনলাইন ক্লাসের।’’ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের নবম শ্রেণির ছাত্র অনিমেষ বসু
বলে, ‘‘লকডাউনে অনলাইন ক্লাসই ভরসা ছিল।’’
কলকাতাতেও মুখ থুবড়ে পড়েছে অনলাইন ক্লাস। আইসিএসই, সিবিএসই বোর্ডের অনেক পড়ুয়া নতুন ক্লাসে উঠলেও বই পায়নি। তাদেরও অনলাইন ক্লাসই ভরসা ছিল। দক্ষিণ কলকাতার রামমোহন মিশন হাই স্কুলের শিক্ষক সুজয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘ছাত্রদের খুব ক্ষতি হচ্ছে। অনেক শিক্ষকের বাড়িতেও বিদ্যুৎ নেই। নেট সংযোগ নেই। কত দিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, সে দিকে তাকিয়ে আছি।’’