শনিবার খোশমেজাজে তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দিলেন মদন মিত্র, জেল হেফাজতে রইলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পরামর্শ দিলেন দীর্ঘ দিনের সতীর্থ মদন মিত্র। তাঁর কারাবাসের অভিজ্ঞতার নীরিখেই ‘একলা চলো’ নীতি নিতে বললেন কামারহাটির বিধায়ক। এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)-র হাতে ধৃত প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রীর ঠিকানা এখন প্রেসিডেন্সি জেল। এই পরিস্থিতি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হিটলার থেকে গৌতম বুদ্ধের উপমা টেনে মদন বলেন, “জীবনের কিছুটা সময় একলা চলতে হয়। হিটলার বাঙ্কারে একা গিয়েছিলেন। ইতিহাস অনুযায়ী, গৌতম বুদ্ধ সাধনা করেছিলেন একাই। জীবনের একটা সময় একলা চলতে হয়।” তিনি আরও বলেন, “একলা চলাটাও একটা আর্ট। যা সময় শিখিয়ে দেবে একা চলার সময় কীভাবে লড়তে হবে।”
সারদা-কাণ্ডে দীর্ঘ দিন জেলে ছিলেন মদন। সেই মদন পার্থর কারাবাস প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সময় তোমায় শিখিয়ে দেবে, একা চলার সময় কী ভাবে লড়তে হয়। এই ঘটনায় সত্যের শেষ এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছবে, ভারতবাসী বিভ্রান্ত হয়ে যাবে কী শুনেছি, কী হল, কেয়া হুয়া, ক্যায়সে হুয়া, কব হুয়া, কিউ হুয়া।’’ তিনি বলেন, ‘‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একটা শারীরিক অসুবিধা তো আছেই। তবে এই ব্যাপারে তো আমাদের মন্তব্য করার কোনও জায়গা নেই। সমস্তটাই বিচারাধীন। দলের বক্তব্যও দল জানিয়ে দিয়েছে। তবে পার্থ যে ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন, এটা বার বার বললে মানুষের মনে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। কী ষড়যন্ত্র রয়েছে, সেটা বরং বলে দিন।”
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সারদা-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল মদনকে। ২০১৬ সালে ভোটে তিনি কারাবন্দি অবস্থাতেই লড়াই করেন। পরাজিত হন সিপিএম প্রার্থী মানস মুখোপাধ্যায়ের কাছে। তারপর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আবারও স্বাভাবিক জীবন শুরু করেছেন মদন। ২০২১ সালে কামারহাটি কেন্দ্রই তাঁকে বিধানসভায় ফিরিয়েছে। যদিও, একুশের ভোটে জিতে আসার পরেই নারদা মামলায় কয়েকদিনের হাজতবাস হয়েছিল তাঁর। আপাতত জামিনে মুক্ত তিনি। আর ২৩ জুলাই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ। সেই নিয়েই নিজের অভিজ্ঞতা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী।
যদিও, মদন গ্রেফতার হলেও, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কঠিন ব্যবস্থা নেয়নি দল। কিন্তু পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পরেই দল তথা সরকারের সব পদ থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে তাঁকে।