Khadim Owner Abduction Case

ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি! সাক্ষ্যের ভিত্তিতে খাদিমকর্তার অপহরণকাণ্ডে ধৃতকে মুক্তি দিল হাই কোর্ট

২০০১ সালের ২৫ জুলাই তিলজলা থানা এলাকার সিএন রায় রোড থেকে খাদিমকর্তা পার্থকে অপহরণ করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ ২১:২৮
Share:
খাদিমকর্তা পার্থ রায়বর্মণ।

খাদিমকর্তা পার্থ রায়বর্মণ। — ফাইল চিত্র।

খাদিমকর্তা পার্থ রায়বর্মণের অপহরণ মামলায় ধৃত এক ব্যক্তিকে মুক্তি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। অপহরণ মামলায় মূল অভিযুক্ত আফতাব আনসারির ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত আখতার হোসেনকে বৃহস্পতিবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি হরিয়ানার বাসিন্দা। আলিপুর আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। অপহরণস্থলে আখতারকে দেখেননি বলে বয়ান দিয়েছিলেন সাক্ষীরা। সেই সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আখতারকে ২০০১ সালের এই মামলায় মুক্তি দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

২০০১ সালে খাদিমকর্তার অপহরণ হয়। প্রথমে মূল অভিযুক্ত আনসারিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১২ সালে ওই অপহরণকাণ্ডে নুর মহম্মদ, জালালউদ্দিন মোল্লা, মিজানুর রহমান, মজ্জামাল শেখ, আখতার হোসেন, ইশক আহমেদ, আরশাদ খান, তারিক মাহমুদ ওরফে নইমকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে চার জন ছিলেন পাকিস্তানের নাগরিক। ২০১৭ সালে আলিপুর কোর্ট তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। পৃথক ভাবে তিন লক্ষ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। ধৃতেরা সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। বৃহস্পতিবার আখতারকে মুক্তির নির্দেশ দিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সাক্ষীরা বয়ান দিয়ে জানিয়েছেন, অপহরণের জায়গায় আখতারকে দেখা যায়নি। এই বয়ানের ভিত্তিতে আখতারকে মুক্তি দেওয়া হল।

২০০১ সালের ২৫ জুলাই তিলজলা থানা এলাকার সিএন রায় রোড থেকে খাদিমকর্তা পার্থকে অপহরণ করা হয়। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে আহত হন তিনি। তদন্তে নেমে সিআইডি ওই অপহরণ-কাণ্ডের নেপথ্যে একটি আন্তর্জাতিক অপরাধচক্রের হদিস পায়। মূলচক্রী হিসেবে আফতাবকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ধরা পড়েন আরও কয়েক জন। নিম্ন আদালতে তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement