মণীশ শুক্ল
ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লকে খুনে হরিয়ানায় জেলবন্দি এক অভিযুক্তের সন্ধান পেল সিআইডি। সেখানে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার ব্যারাকপুরের অতিরিক্ত দায়রা ও জেলা বিচারকের আদালতে আবেদন করে তারা। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক ডি এন রায়বর্মণ।
আদালত সূত্রের খবর, ওই অভিযুক্তের নাম মণীশ সিংহ। বিহারের বৈশালীর বাসিন্দা মণীশ ২০১৩ সালে ডাকাতির চেষ্টার একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে হরিয়ানার নিমকা জেলে বন্দি। চলতি বছরেই হরিয়ানার পালোয়াল থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। মণীশ শুক্ল খুনের মামলায় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ে মণীশ সিংহের নাম জানতে পারেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
গত বছরের ৪ অক্টোবর টিটাগড় থানার কাছে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন বিজেপি নেতা মণীশ। ঘটনার সময়ে বি টি রোডের ধারে তাঁর গাড়িটি দাঁড় করানো ছিল। তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনাস্থলে কয়েক জন সঙ্গীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন মণীশ। সেই সময়ে বাইকে চেপে এসে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের কার্যত ডান হাত ছিলেন মণীশ।
ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নাসির আলি-সহ ১১ জনের নামে আগেই চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিআইডি। তবে বেশ কিছু পলাতক সন্দেহভাজনের নামও ছিল তদন্তকারীদের কাছে। সিআইডি সূত্রের খবর, ব্যারাকপুর আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়ার পরে এক দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়। তাকে জেরা করেই হরিয়ানার জেলে বন্দি মণীশের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। এর আগে যে ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে তিন জন ছিল শার্প শুটার। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সকলেই বিহারের বাসিন্দা এবং কুখ্যাত দুষ্কৃতী, জেলবন্দি সুবোধ সিংহের সঙ্গী।
এই মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী অশোক সিংহরায় এ দিন জানান, যে শার্প শুটারদের মণীশ শুক্লকে খুনের ঘটনায় কাজে লাগানো হয়েছিল, হরিয়ানার জেলে বন্দি মণীশ সিংহ তাদের মধ্যে এক জন বলেই জানা গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এর আগে ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের অনুমতি নিয়ে রাখা হয়। সম্প্রতি হরিয়ানার জেলে বন্দি ওই অভিযুক্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে। সিআইডির আধিকারিকেরা এর পরে হরিয়ানার ওই জেলে গিয়ে মণীশকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।’’