মৃত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ। ফাইল চিত্র।
বাড়ির ভিতরে ধানের বস্তার মধ্যে লুকিয়ে শেষরক্ষা হল না। সিবিআইয়ের তল্লাশিতে ধরা পড়ল রামপুরহাটের বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুনের অন্যতম অভিযুক্ত সফি ওরফে সফিজুল শেখ। বৃহস্পতিবার রাতে বগটুই গ্রামের পূর্বপাড়ায় ফটিক শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই সফিকে গ্রেফতার করে। ফটিক সফির বাবা। শুক্রবার রামপুরহাট আদালতে সফিকে চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
গত ২১ মার্চ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে, রামপুরহাট থানার বগটুই মোড়ে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে খুন হন। ভাদু খুন হওয়ার পরে বগটুই গ্রামের ভিতরে বেছে বেছে ভাদু-বিরোধী একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ১০ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে সফি শেখের মা মিনা বিবিও ছিলেন। সফি এত দিন ফেরার ছিল। ভাদু শেখ খুনে সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিটে নাম থাকা পলাশ খান, সঞ্জু ওরফে নুর ইসলাম, মাহি শেখদের সঙ্গে সফিরও নাম ছিল। সিবিআই সঞ্জু, মাহি এবং পলাশকে গ্রেফতার করতে পারলেও সফির খোঁজ পাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার রাতে শেষমেশ নিজের বাড়িতেই সিবিআইয়ের জালে পড়ে সফি। সিবিআই হানা দিয়েছে বুঝে সে ধানের বস্তায় লুকিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের চোখ এড়াতে পারেনি।
এ দিন রামপুরহাট আদালতে সফিকে ৮ দিনের হেফাজত চায় সিবিআই। সফির আইনজীবী আব্দুল বারি করা এই আবেদনের বিরোধিতা করেন। সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, গভীর ষড়যন্ত্রমূলক কাজের সঙ্গে সফি জড়িত। সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক সফিকে চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন।