Hanskhali

Hanskhali Rape case: লাখ নয়, কোটি টাকা চাই ক্ষতিপূরণ, হাঁসখালির ঘটনায় নজিরবিহীন দাবি কলকাতা হাই কোর্টে

বৃহস্পতিবার মামলাকারীর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেন! বিষয়টি নিয়ে তিনি দ্রুত শুনানির আর্জিও জানিয়েছেন আদালতের কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২২ ২১:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি

হাঁসখালিতে নাবালিকা গণধর্ষণ এবং মৃত্যু মামলায় ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করা হল কলকাতা হাই কোর্টে। কিন্তু ক্ষতিপূরণ হিসাবে কোটি টাকা কি চাওয়া যায়? এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। এর আগে অনেক ঘটনা বা দুর্ঘটনায় লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের প্রচুর উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু কোটি টাকার উদাহরণ নেই বললেই চলে। তবে জনস্বার্থে ওই মামলাটি যিনি করেছেন, সেই আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস বলছেন, ‘‘মানুষের জীবনের সঙ্গে টাকার কোনও তুলনাই করা যায় না! জীবন অমূল্য। তা ছাড়া এই ঘটনায় কেন কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে, তার চারটি কারণ আমরা আদালতের সামনে তুলে ধরেছি।’’

বৃহস্পতিবার মামলাকারীর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেন! বিষয়টি নিয়ে তিনি দ্রুত শুনানির আর্জিও জানিয়েছেন আদালতের কাছে। আবেদনে চারটি বিষয় উল্লেখ করা হয়। প্রতিটি বিষয়ের জন্য ২৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। এমনকি, কেন ওই অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হচ্ছে, আবেদনে তার কারণও সবিস্তারে লেখা রয়েছে।

Advertisement

ক্ষতিপূরণের প্রথম বিষয়ে বলা হয়েছে, অপরাধীদের হাতে ওই নাবালিকার গণধর্ষণ, শারীরিক ভাবে নির্যাতন এবং শেষে মৃত্যু হয়েছে। এই জঘন্যতম অপরাধের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। দ্বিতীয় বিষয়ে বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পেয়ে নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই জোর করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে দেহ। এর জন্য ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হচ্ছে। তৃতীয়ত, শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে ওই নির্যাতিতা। যে কোনও ১৪ বছরের মেয়ের শিক্ষার অধিকার রয়েছে। কিন্তু নির্দয় ধর্ষণকারীদের হাতে মৃত্যুর ফলে সে সেই সুযোগ পায়নি। এ ক্ষেত্রেও ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। চতুর্থ বিষয়ে বলা হয়েছে, এই ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ ভাবে আইনকে উপেক্ষা করার অভিযোগ রয়েছে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে হয়েছে নির্যাতিতার পরিবারের উপর। তার জন্যও চাওয়া হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে ওই নির্যাতিতার পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিক রাজ্য, দাবি এমনই।

এত অঙ্কের ক্ষতিপূরণ কি এর আগে কোনও ঘটনায় দেওয়া হয়েছে? ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম বা আইন রয়েছে কি? ফিরোজের উত্তর, ‘‘না, এই অঙ্কের ক্ষতিপূরণ এই ধরনের কোনও ঘটনায় দেওয়ার উদাহরণ নেই বললেই চলে। আর ক্ষতিপূরণের কোনও নিয়ম বা আইন নেই বলেই এমন দাবি করা হয়েছে। অর্থাৎ, বুঝতে হবে ক্ষতিপূরণের কোনও ঊর্ধ্ব সীমা নেই।’’

Advertisement

অন্য দিকে, অনিন্দ্যসুন্দরের কথায়, ‘‘কিছু টাকা দিয়ে সব ঘটনা চাপা দেওয়া যায় না! আমরা কিছু দিন আগেই দেখেছি বগটুই-কাণ্ডে হিসাব না করেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। কিসের ভিত্তিতে সেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল? আমাদের আবেদনে নির্দিষ্ট করে বলেছি, কেন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement