বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোমে রোগীদের হয়রানি আটকাতে আজ, শুক্রবার বিধানসভায় বিল পেশ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। বিলে চিকিৎসায় গাফিলতির জন্য জরিমানা, এমনকী প্রয়োজনে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার মতো কড়া নিদান রয়েছে।
চিকিৎসার বাড়তি খরচ, রোগী হেনস্থা ও হাসপাতালে ভাঙচুর আটকাতে ২০১০ সালের ২৯ জুলাই ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিকাল এস্টাবলিশমেন্টস (রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড রেগুলেশন) বিল’ পাশ করিয়েছিল বামফ্রন্ট সরকারও। আজ সেই আইন প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে দেবে মমতা সরকার। তবে বিধানসভার অলিন্দে চর্চা, চাইলে কিন্তু আগের আইনই কাজে লাগানো যেত। কারণ, পুরনো আইনের সঙ্গে নতুন বিলের গুণগত ফারাক বিশেষ নেই। সাত বছর আগে সিলেক্ট কমিটিতে ‘ডিসেন্ট নোট’ দিয়ে ওই বিলের বিরোধিতা করেছিল তৃণমূলই। তাঁদের দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় আইন না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যের ১৯৫০ সালের আইনেই কাজ চলুক। এখন কিন্তু মমতা কার্যত পুরনো বিলটির পথেই হাঁটলেন। বিলের নামে ‘ট্রান্সপারেন্সি’ (স্বচ্ছতা) শব্দটি যোগ হয়েছে। নির্দিষ্ট মূল্য বা প্যাকেজের বাইরে কোনও ভাবেই টাকা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের হদিস দেবে উপগ্রহই