নিজস্ব চিত্র।
করোনা হয়েছে সন্দেহে বৃদ্ধা দম্পতিকে একঘরে করে রেখেছিল গোটা গ্রাম। সংক্রমণের ভয়ে ফেলে পালিয়েছিলেন আত্মীয়রাও। জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৪ দিন ধরে বাড়িতেই পড়ে ছিলেন তাঁরা। খবর পেয়ে তাঁদের উদ্ধার করল স্থানীয় প্রশাসন।
মালদহের মানিকচক ব্লকের কামালপুর গ্রামের এই ঘটনায় ওই দম্পতির করোনা পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃদ্ধার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে মালদহের জেলা হাসপাতালে। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হলেও ওই বৃদ্ধাকে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার লোক পাওয়া যায়নি। সংক্রমণের ভয়ে এগিয়ে আসেননি প্রতিবেশীরাও। শেষে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক নিজে এসে বৃদ্ধাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। অন্য দিকে, বৃদ্ধের করোনা রিপোর্ট না আসায় তিনি আপাতত ঘরবন্দি। তাঁকে তাঁর বাড়িতেই দেখাশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
৭ দিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এই দম্পতির ছেলে সুরেশ সাহার। তার পর থেকেই জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন দু’জনে। পরিবারের তরফে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। বরং করোনার উপসর্গ রয়েছে বুঝতে পেরে দম্পতিকে ফেলে অন্যত্র চলে যান পরিবারের বাকি সদস্যরা। এ দিকে, করোনা হয়েছে সন্দেহে পাড়া-প্রতিবেশীরাও কেউ এগিয়ে আসেননি তাঁদের সাহায্য করতে।
টানা ৪ দিন অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতেই পড়ে ছিলেন ওই দম্পতি। বৃহস্পতিবার খবরটি এক আশা কর্মীর মাধ্যমে পৌঁছয় ব্লক স্বাস্থ্য দফতরে। তার পরই ওই বৃদ্ধ দম্পতির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকার হেম নারায়ণ ঝা। তিনি জানিয়েছেন, বৃদ্ধের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁকেও মালদহে পাঠানো হবে।