মনে করা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহ থেকেই আরও বাড়ানো হতে পারে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। ছবি: এএফপি।
নিউ নর্মালে লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হতেই ভিড়ের চেনা ছবি ফিরে এসেছে। কার্যত শিকেয় উঠেছে স্বাস্থ্যবিধি। এ ভাবে চলতে থাকলে করোনা সংক্রমণ কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসক মহল। যাত্রীদের দাবি, ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হোক।
এই পরিস্থিতিতে আজ, বৃহস্পতিবার ভবানী ভবনে ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্য এবং রেলের প্রতিনিধিরা। মনে করা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহ থেকেই আরও বাড়ানো হতে পারে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। এমনকি ১০০ শতাংশ পরিষেবা চালু হতে পারে।
হাওড়া এবং শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দেড় হাজার লোকাল ট্রেন চলত। গতকাল, চলেছে মাত্র ৬১৫টি ট্রেন। অবশ্য সকালে-বিকেলে অফিসের ব্যস্ত সময়ে প্রায় ৮৪ শতাংশ লোকাল চালানো হয়। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে ট্রেনের কামরার ভিতরে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতোই। এ দিনও জেলায় জেলায় একই ছবি ধরা পড়ছে।
আরও পড়ুন: টেট থেকে নিয়োগ ডিসেম্বরে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
যাত্রীদের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও, স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা কেউ করছেন না। রেল কর্তাদের সাফাই, যাত্রীদেরই সচেতন হতে হবে। পাল্টা যুক্তি দিয়ে যাত্রীরা জানাচ্ছেন, গত সাড়ে ৭ মাস ধরে তাঁরা লোকাল ট্রেনেরই অপেক্ষায় ছিলেন। তবে এখন গন্তব্যে পৌঁছতে হলে ঝুঁকি নিয়েই যাত্রা করতে হচ্ছে। কারণ, এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর পর ট্রেন পাওয়া যাচ্ছে। আগের মতো ট্রেনের সংখ্যা স্বাভাবিক হলে পরিস্থিতি আর এমন হবে না।
আরও পড়ুন: প্রথম দিনেই দূরত্ব-বিধি শিকেয়, বাড়াতে হল ট্রেন
এ বিষয়টি বিবেচনা করছে রেল এবং রাজ্যে সরকারও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই বলেছিলেন, ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো উচিত। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ দিন দুপুর ৩টে নাগাদ বৈঠকে বসতে চলেছেন রেল এবং রাজ্যের প্রতিনিধিরা। এখন দেখার ১০০ শতাংশ ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়, না পরিস্থিতি অনুযায়ী ধাপে ধাপে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়।