Coronavirus Lockdown

বাড়ল বাস, যাত্রীদের থেকে বেশি টাকা আদায়

করোনা-আবহে ডিজেলের দাম যে ভাবে বেড়েছে, তাতে পরিবহণ সচল রাখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চলতি সপ্তাহের শেষে কিছু পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে খবর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২০ ০৬:০০
Share:

ছবি পিটিআই।

রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা আগের তুলনায় সোমবার কিছুটা বাড়ল। বেসরকারি বাস এবং মিনিবাস মিলে এ দিন প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি বাস পথে নেমেছিল বলে খবর। বাস-মালিক সংগঠনগুলির দাবি, সরকারের সঙ্গে আলোচনার দরজা খুলে যাওয়ায় তারা বাস নামাচ্ছেন।

Advertisement

তবে শহরের বেশির ভাগ রুটেই বাস সচল হলেও যাত্রীদের অভিজ্ঞতা কিছুটা অন্য রকম। ভাড়া নিয়ে কোনও জুলুম না করলেও প্রায় সব রুটেই ১০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। করোনা-আবহে ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৯ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা জানিয়ে ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। তবে কোনও যাত্রী বর্ধিত ভাড়া দিতে না চাইলে তাকে কিছু বলা হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে এক বাস-মালিক বলেন, ‘‘নিয়মিত যাত্রীরা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধার কথা বুঝেই ১০ টাকা দিতে আপত্তি করছেন না। কেউ আপত্তি করলে তাঁর কাছে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। তেলের দাম যে ভাবে বেড়েছে, তাতে পরিষেবা সচল রাখতে গেলে এই পথ নেওয়া ছাড়া আমাদের উপায় নেই।’’

করোনা-আবহে ডিজেলের দাম যে ভাবে বেড়েছে, তাতে পরিবহণ সচল রাখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চলতি সপ্তাহের শেষে কিছু পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে খবর। রোড ট্যাক্স, ফিটনেস সার্টিফিকেট-সহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সরকারি ছাড়ের মেয়াদ আরও কয়েক মাস বাড়তে পারে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর। এর আগে কর মেটানোর মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছিল। করোনার মধ্যে পরিষেবা সচল রাখতে গিয়ে বাসকর্মীদের মধ্যে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ২১১ রুটের এক জন স্টার্টার করোনা-আক্রান্ত হয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রয়েছেন। সমস্যা মেটাতে বাসকর্মীদের কী ভাবে স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে পরিবহণ দফতর। বেসরকারি বাসের কর্মীদের সংখ্যা নির্ধারণ করতে সরকারি স্তরে তৎপরতা শুরু হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: অর্ধের ভাড়া হলেও দিন, আর্জি স্কুলগাড়ি মালিকদের

এ বিষয়ে জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোধ্যায় ও ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ন বসু বলেন, ‘‘সরকারের কাছ থেকে দাবি বিবেচনার আশ্বাস পাওয়ায় বাস-মালিকরা বাস রাস্তায় নামাচ্ছেন।’’ সিটি সাব আরবান বাস সার্ভিসের সম্পাদক টিটো সাহা বলেন, ‘‘বাস-মালিকদের বোঝা কমাতে সিগন্যাল ভাঙার জরিমানার টাকা মকুবের দাবি জানিয়েছি আমরা।’’

আরও পড়ুন: জরুরি পরিষেবায় মেট্রো চাইল রাজ্য

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement