—নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য টিকা-শিবির চালু করেছে এনএসএইচএম নলেজ ক্যাম্পাস। এনএসএইচএম-এর এই উদ্যোগে শরিক হয়েছে মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালও। রবিবার দুর্গাপুরের এনএসএইচএম ক্যাম্পাসে এই শিবির শুরু হয়। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই টিকাকরণ কর্মসূচি চলবে। রাজ্যের শিক্ষা মহলের জন্য এটাই এখনও পর্যন্ত সর্ববৃহৎ টিকাকরণ কর্মসূচি।
রবিবার টিকাকরণ শিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের আইন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র দিলীপকুমার অবস্থি।
দুর্গাপুরের ক্যাম্পাসের মতোই রাজ্য জুড়ে নিজেদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই শিবির চালু করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে টিকা নিতে ইচ্ছুক কমপক্ষে ১০০ জনের উপস্থিতি জরুরি। সেই টিকা-শিবিরের যাবতীয় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেবেন এনএসএইচএম এবং মেডিকা কর্তৃপক্ষ। রাজ্যের স্কুল-কলেজগুলি ছাড়াও দুর্গাপুর এবং কলকাতায় এনএসএইচএম ক্যাম্পাসেও টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।
রাজ্যের পড়ুয়া ও শিক্ষকরা যাতে সহজেই কোভিডের টিকা নিতে পারেন, তার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই এ ধরনের উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন এনএসএইচএম নলেজ ক্যাম্পাসের ট্রাস্টি ফ্রান্সিস অ্যান্টনি।
রবিবার দুর্গাপুরে এনএসএইচএম ক্যাম্পাসে শিবিরের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেডিকা হাসপাতাল গোষ্ঠী এবং ফিকি-র স্বাস্থ্য পরিষেবা কমিটির চেয়ারম্যান অলোক রায়ও। অনুষ্ঠানে নিজের ভাষণে তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতায় এবং এনএসএইচএম নলেজ ক্যাম্পাসের মতো প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই শিবির করতে পেরে গর্বিত মেডিকার গোটা দল। মেডিকার তরফ থেকে দুর্গাপুরের ১৮ বছর বা তার ঊর্ধ্বের সমস্ত পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই টিকা শিবিরে অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ করব।” তবে টিকা নেওয়ার পরেও করোনার বিরুদ্ধে ঢিলেঢালা মনোভাব বর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। টিকাকরণ সত্ত্বেও মাস্ক পরা বা ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে চলার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাও যে জরুরি, সে পরামর্শও দিয়েছেন অলোক।