রাজ্যের স্কুলগুলিতে পার্শ্বশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নিয়ে সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে শিক্ষা দফতর। আর এতেই বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে রাজ্যের শিশুশিক্ষাকেন্দ্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষকদের মধ্যে। রাজ্যে এই মুহূর্তে এসএসকে এবং এমএসকের শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজারের উপর। প্রশিক্ষণের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন পার্শ্বশিক্ষকেরা। অবশেষে গত ২৯ ডিসেম্বর রাজ্যের প্রায় ৫৫ হাজার পার্শ্বশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। কিন্তু তাতে কোনও উল্লেখ নেই এই এসএসকে এমএসকে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের কথা।
এসএসকে এবং এমএসকে যৌথ সংগ্রাম মঞ্চের সম্পাদক মুকুলেশ বিশ্বাস জানান, গত বছরেই তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ এসেছিল কেন্দ্র থেকে। কিন্তু বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর তাতে শুধুই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে পার্শ্বশিক্ষকদের। কেন রাজ্যের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রগুলির প্রতি এমন বিরূপ আচরণ?—প্রশ্ন তুলেছেন ওই শিক্ষকেরা।
‘‘পার্শ্বশিক্ষকদের যেভাবে গুরুত্ব দিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে আমাদের ক্ষেত্রে নির্দেশিকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার সেই ব্যবস্থা নেয় নি।’’—বলেন এক শিক্ষক। যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষে জানানো হয়েছে পার্শ্বশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেলেই এমএসকে এবং এসএসকের শিক্ষকদের নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হবে।
পর্ষদের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী স্কুলশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য যে ট্রেনিং কলেজগুলি রয়েছে তাতে কলেজ পিছু একশো জনের বেশি শিক্ষককে প্রশিক্ষণের জন্য নেওয়া যাবে না। এছাড়া বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ চলার জন্য আসন একেবারেই ফাঁকা নেই। যদিও ওই শিক্ষকদের অভিযোগ ২০১৬ সালের মার্চের মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ না হলে তাঁদের চাকরি নিয়েই সমস্যা শুরু হয়ে যাবে।
কেন্দ্রের নির্দেশিকায় থাকা সত্ত্বেও তবে কেন এমএসকে এবং এসএসকের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করল না পর্ষদ? পর্ষদ সূত্রে খবর, প্রশিক্ষণের প্রথম ধাপে পার্শ্বশিক্ষকদের অগ্রাধিকার দেওয়ার উল্লেখ ছিল। শিক্ষা দফতরের আশ্বাস রাজ্যের এসএসকে এমএসকের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নিয়েও সমান চিন্তিত রাজ্য সরকার। তাড়াতাড়িই প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করা হবে।