দীর্ঘ ২৯ বছর পরে ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচিত হল মালদহে সিপিএমের জেলা কমিটি। রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত চলে এই ভোট গ্রহণ। ভোটাভুটি হওয়ায় দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই সম্মেলনে দলের ক্ষমতাশীল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভোটাভুটিতে অংশ নেয় বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী। তা নিয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “৪০ জনের জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্মেলনে দুটি প্যানেল জমা পড়েছিল। ভোটাভুটির মাধ্যমে জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
গত শনিবার থেকে মালদহের রতুয়ায় সিপিএমের ২১তম জেলা সম্মেলন শুরু হয়। রতুয়ার স্টেডিয়ামে এই সম্মেলনে দলের লোকাল কমিটির ৩০৫ জন সদস্য যোগ দেন।
নতুন কমিটিতে ১৫ জন নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছেন। দলীয় সূত্রে খবর, ১৯৮৫ সালে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে সিপিএমের জেলা সম্মেলনে ভোটাভুটির মাধ্যমে জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ২৯ বছর বাদে পের এ বার সেই পদ্ধতিতে গঠন হল জেলা কমিটি। এর আগে ২০তম জেলা সম্মেলনে হবিবপুর ব্লকের কেন্দ পুকুরে জেলা কমিটি গঠনের সময় ভোটাভুটির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় প্রয়াত শৈলেন সরকার ভোটাভুটি রুখে দেন।
রবিবারই কোচবিহারের সুকান্ত মঞ্চে কোচবিহার জোনাল কমিটির সম্মেলনে জোনাল সম্পাদক হন জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহানন্দ সাহা। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক তারিণী রায় বলেন, “সাধারণভাবে জেলা সম্পাদকমন্ডলীর কোন সদস্যকে জোনাল সম্পাদক করার রেওয়াজ নেই। সাংগঠনিক প্রয়োজনের নিরিখে মহানন্দ সাহাকে জোনাল সম্পাদক হিসাবে বাছা হয়েছে।”