পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই তৃণমূল কর্মীরা বক্সিরহাটের ফলিমারিতে দলের কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে ঢুকে পরিবারের মহিলাদের হেনস্থা ও গালিগালাজ করেছেন বলে অভিযোগ তুলল বিজেপি। দলের অভিযোগ, সোমবার রাত ১২টা নাগাদ পুলিশকর্মীদের একাংশকে সঙ্গে নিয়ে ফলিমারির অন্তত ৮ জন বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে ঢুকে তৃণমূল সমর্থকরা মহিলাদের হেনস্থা করে গালিগালাজ করেন।
মঙ্গলবার কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে জেলা বিজেপি। রাতে এলাকার অন্তত পাঁচ জন বিজেপি সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও তাঁরা দাবি করেছেন। এমনকী, বাড়ি ফের ভাঙচুর করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কিছু হয়নি। রাতে গোলমালের পর এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। আধাসামরিক বাহিনীর টহল চলছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
দলের জেলা সম্পাদক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “রাত ১২টা নাগাদ দলের কর্মীদের ওপর হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল সমর্থকেরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। পুলিশও সঙ্গে ছিল। আট জন মহিলাকে পুলিশের সামনেই তারা হেনস্থা করে গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের লোকেরা অন্তত ৫ জনের ঘরের বেড়া লাথি মেরে ভাঙচুর করে। পুলিশ বিস্তারিতভাবে সব জানানো হয়েছে।”
তৃণমূলের ব্লক ও জেলা নেতারা একসুরে বিজেপির তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। দলের বক্সিরহাট ব্লক কার্যকরী সভাপতি স্বপন সাহা বলেন, “পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ায় রাতে আট জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। না হলে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত।” আর তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ছক কষে ফলিমারিতে অসমের দুষ্কৃতীদের নিয়ে আসা হয়েছিল। ঘটনার মোড় ঘোরাতে পুলিশকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে।”