সরকারি মঞ্চে দলীয় রাজনীতির অভিযোগ, নেমে গেলেন বিধায়ক

সরকারি অনুষ্ঠানে কেন রাজনৈতিক বক্তৃতা দিচ্ছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, সেই প্রশ্ন তুলে মঞ্চ থেকে নেমে গেলেন বিরোধী দলের বিধায়ক এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি। রবিবার বিকেলে বানারহাটে চা এবং আদিবাসী উত্‌সবের মঞ্চে এমনই ঘটেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বানারহাট শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:২৪
Share:

সরকারি অনুষ্ঠানে কেন রাজনৈতিক বক্তৃতা দিচ্ছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, সেই প্রশ্ন তুলে মঞ্চ থেকে নেমে গেলেন বিরোধী দলের বিধায়ক এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি। রবিবার বিকেলে বানারহাটে চা এবং আদিবাসী উত্‌সবের মঞ্চে এমনই ঘটেছে।

Advertisement

জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান হিসেবে। সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চকে দলীয় মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগ ছাড়াও সৌরভবাবু মঞ্চে বসে বিরোধী দলের কোনও জনপ্রতিনিধিকে সম্বোধন না করায় সৌজন্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি নূরজাহান বেগম ও ধূপগুড়ির বিধায়ক মমতা রায়।

রবিবার অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে বানারহাট ফুটবল মাঠে তিন দিনের টি এন্ড ট্রাইবেল অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। মঞ্চে ছিলেন ধূপগুড়ির বিধায়ক ও জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সভাধিপতিও। জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক বক্তৃতা করার পর বলতে শুরু করেন সৌরভবাবু। মঞ্চের আসনে বসা সকলের নাম ধরে সম্বোধন করলেও তিনি সিপিএম দলের জনপ্রতিনিধিদের নাম উচ্চারণ করেননি বলে বিধায়ক এবং সভাধিপতির অভিযোগ। বক্তব্যে তিনি ‘মা-মাটি মানুষের সরকারে’র নানা প্রশংসা করেন। বাম আমলে চা বাগানে কয়েক হাজার মানুষ অনাহার অপুষ্টিতে মারা গিয়েছে বলেও দাবি করেন। বর্তমান সরকারের প্রশংসা শুরু করেন। বক্তব্য চলাকালীনই মঞ্চ থেকে নেমে সভাধিপতি এবং বিধায়ক সভাস্থল ছেড়ে রওনা দেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

মঞ্চ ছাড়া প্রসঙ্গে ধূপগুড়ির সিপিএম বিধায়ক মমতা রায় অভিযোগ করে বলেন, “আগামী বছর বিধান সভা নির্বাচন তাঁর আর তার আগে সরকারি মঞ্চকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বুঝতে পেরে আমরা ওই অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে আসি। পাশের রেডব্যাঙ্ক বাগানে গত পরশু শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।” জেলা পরিষদ সভাধিপতি নূরজাহান বেগমের কথায়, “বর্তমান সরকার কী করেছেন, তার সঙ্গে অতীত তুলনা করে যে ভাবে রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছেন সৌরভবাবু, তা মানা যায় না। আমার জেলায় অনুষ্ঠান হচ্ছে আর আমার নাম না বলে পাশের জেলার সভাধিপতির নাম বলেছেন তিনি। এটা অপমনানজনক।” সৌরভবাবুর দাবি, “কোনও রাজনৈতিক কথা বলিনি। শুধু বলেছি, আগের সরকারের আমলে বন্ধ বাগানে আড়াই হাজার মানুষ মারা গিয়েছে। ৫ হাজার নারী পাচার হয়েছে। এই সরকার আসার পর সরকারি সহায়তা ও চিকিত্‌সা নিয়মিত পাচ্ছেন শ্রমিকরা। এটাই বলেছি। তাছাড়া, সরকারের মধ্যে তো তাঁরাও রয়েছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement