চলছে লাড্ডু তৈরির কাজ। ছবিটি তুলেছেন সন্দীপ পাল।
এক লক্ষ লাড্ডু বানিয়ে আজ বিকেলের মধ্যে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শহরের কিছু বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই ৭ জন মিষ্টির দোকানের কারিগরকে কাজে লাগানো হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর থেকে লাড্ডু তৈরিতে সাহায্য করছেন ৫০ জন বাসিন্দা। বাড়ির সব কাজ ফেলে গৃহবধূরা পালা করে লক্ষ্য পূরণের চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। জংশন এলাকার তৃণমূল দলের একটি পার্টি অফিস ছাড়াও দিন রাত এক করে ৩টি বাড়িতে লাড্ডু বানানোর কাজ চলছে।
লাড্ডু বানানোর জন্য ৬০০ কিলোগ্রাম বেসন, ১২০০ কিলোগ্রাম চিনি, ৩৫০ লিটার তেল এবং ১২০ লিটার ঘি যোগানের কাজ অবশ্য করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে চাকুরিজীবী সকলেই। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই সকলে সামিল হয়েছেন ওই উদ্যোগে।
আলিপুরদুয়ারকে মুখ্যমন্ত্রী জেলা হিসাবে ঘোষণা করবেন আর তার জন্য নতুন কিছু একটা উদ্যোগ নেওয়া দরকার, এ কথা ভেবে তিন দিন আগে লাড্ডু তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জংশন এলাকার বাসিন্দারা। লাড্ডু তৈরির খরচ কে বহন করবে তা সেখানেই ঠিক হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়ে দেন, তাঁরাই সব কিছু যোগান দেবেন। তবে বোঁদে তৈরির জন্য কারিগর পাওয়া গেলেও তার মণ্ড তৈরি করার মতো এত লোক কোথায় মিলবে? এলাকার মহিলা তাঁর সমাধান বের করে দেন। গৃহবধূ অঞ্জলি রায়ের কথায়, “লক্ষ্মী পুজোর সময় আমরা তো নারকোল বা তিলের নাড়ু তৈরি করি। গোটা দশেক নারকোলের ১০০টি নাড়ু তৈরি করি। বোদের মণ্ড পাকানো তেমন কী শক্ত কাজ?” সে কথায় একমত হন শর্মিলা পণ্ডিত , চুমকি সিংহরা। তাদের কথায়, এটা তাঁদের কাছে চ্যালেঞ্জ।
আজ বুধবার দুপুরের মধ্যে লাড্ডু তৈরির লক্ষ্য পূরণ হবে। মহিলাদের পাশাপাশি পাড়ার ছেলেরাও মেঝেতে বসে লাড্ডু তৈরি করার কাজ করছেন। রীতিমত নাওয়া খাওয়া ভুলে কাজে মেতেছেন ওঁরা। স্থানীয় ব্যবসায়ী দুলাল নাহার কথায়, “জেলা হবে তাই সে আনন্দে আমি লাড্ডুর জন্য পাঁচ কিলোগ্রাম বেসন দিয়েছি। আমি চাই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে যেন সকলে মিষ্টি মুখ করেন।” শুধু লাড্ডু নয়, শহরের এক ব্যবসায়ী সংগঠন ইতিমধ্যে পাঁচ কিলো চকলেট দিয়ে তৈরি ঢাউস একটি কেক তৈরি করে ফেলেছে। কেকটির মাঝে রয়েছে নয়া জেলার মানচিত্র। আজ প্যারেড গ্রাউন্ডের মাঠে ওই কেক কাটার কথা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।