পিচের চাদর উঠে গিয়েছে তুফানগঞ্জ-নাটাবাড়ি রাস্তার। নিজস্ব চিত্র।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের বরাদ্দ অর্থে সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার চার মাসের মাথাতেই তুফানগঞ্জ-নাটাবাড়ি রাস্তার পিচের চাদর উঠতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের পাশাপাশি নিত্যযাত্রীদের মধ্যেও ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার কাজ নিম্নমানের হয়েছে বলে এলাকার বিধায়ক তথা পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বাসিন্দারা। রাস্তার হাল দেখে ক্ষুব্ধ পূর্ত পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথবাবু নির্মাণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থাকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করার দাবি জানিয়েছেন।
রাস্তার কাজের মান নিয়ে অভিযোগের কথা শুনেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও। তিনি বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে রাস্তার এমন অবস্থার কথা কেউ আগে আমায় জানাননি। কাজের মান নিয়ে কোনও আপোস করা হবে না। জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষ বা অন্য সংস্থার মাধ্যমে ওই রাস্তার হাল খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে পূর্ত পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের বরাদ্দ করা অর্থে ওই রাস্তাটির সংস্কার করা হয়। আমি নিজে এলাকা ঘুরে দফতরের সচিবকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করার আর্জি জানিয়েছি।” ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের হরিরধাম মোড় লাগোয়া এলাকা থেকে নাটাবাড়ির কদমতলা মোড় পর্যন্ত প্রায় ন’কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয় গত এপ্রিলে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর এই কাজের জন্য দু’ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল। গত জুনে ওই রাস্তার কাজ শেষ হয়। এরই মধ্যে তা ফের ভাঙতে শুরু করেছে। তাঁদের বক্তব্য, এই রাস্তাটি দিয়ে তুফানগঞ্জ মহকুমা সদর থেকে নাটাবাড়ি পঞ্চায়েত এলাকার দূরত্ব বড় জোর দশ কিলোমিটার। ফের রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ায় চিলাখানা হয়ে ঘুরপথে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। এতে অন্তত দশ কিলোমিটার রাস্তা বাড়তি যেতে হচ্ছে। মোবাইল বন্ধ থাকায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার কর্তার বক্তব্য জানা যায়নি।