জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।
ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে রেলের আধিকারিকদের অপেক্ষা করতে দেখে জনাকয়েক যাত্রীও কৌতুহলবশত দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। হলদিবাড়িগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেন আসতে তখনও মিনিট পনেরো বাকি। জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে ঢুকলেন তৃণমূল সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মন। ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে সাংসদকে প্ল্যাটফর্মের দিকে নিয়ে গেলেন রেলে আধিকারিকরা। রেল কর্মীরা সাংসদের দিকে ঝাড়ু এগিয়ে দিলেন। ঝাড়ু হাতে প্ল্যাটফর্মের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত সাফাই শুরু করলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ।
‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ শুরু হয়েছে ২ অক্টোবর, অষ্টমীর দিন থেকেই। সকালে দিল্লির রাস্তায় ঝাড়ু দিয়ে প্রকল্পের শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার কিছু পরে টাউন স্টেশনে ঝাড়ু হাতে অভিযান শুরু করেছেন তৃণমূল সাংসদ-সহ উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের আধিকারিকরা। বিজয়বাবুর কথায়, “সাংসদ হিসেবেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে শরিক হয়েছি। গাঁধীজিকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই প্রকল্প। যদি সকলে মিলে প্রতিদিন কিছুক্ষণের জন্য সাফাইয়ের কাজ করতে পারি, তবে দেশের পরিবেশ নির্মল হবে।”
সাংসদ জানিয়েছেন, উত্সবের মরসুম শেষ হওয়ার পরে জলপাইগুড়িতে সাধারণ বাসিন্দাদের নিয়ে সাফাই অভিযান শুরু হবে। পরে হলদিবাড়ি স্টেশনে গিয়েও ঝাড়ু হাতে প্ল্যাটফর্ম সাফাই করেন তিনি।
জলপাইগুডি টাউন স্টেশনের সাফাই অভিযানে সামিল হয়েছিলেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের ডিভিশনাল মেটেরিয়াল ম্যানেজার মোহন সিংহ সহ পদস্থ আধিকারিকরা। স্টেশনের রেল কর্মী, আধিকারিকরাও গ্লাভস হাতে ঝাড়ু নিয়ে প্ল্যাটফর্ম পরিষ্কার করেছেন। যা দেখে অনেক সাধারণ যাত্রীও উত্সাহী হয়ে এগিয়ে গিয়ে ঝাডু চেয়ে সাফাই অভিযানে সামিল হযেছিলেন।
টাউন স্টেশনের ম্যানেজার নৃপেনচন্দ্র রায় জানিয়েছেন, টানা অভিযান চলবে। সাধারণ যাত্রীদের অনেকেই নিজেরাই সাফাই অভিযানে সামিল হয়েছিলেন।