সুনীতিতে এ বার অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে

সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী আবাসের সুপারের পাশে দাঁড়িয়ে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামল তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। বৃহস্পতিবার সংগঠনের তরফে জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৪ ০২:০৫
Share:

সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী আবাসের সুপারের পাশে দাঁড়িয়ে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামল তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। বৃহস্পতিবার সংগঠনের তরফে জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এর পরে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। গত বুধবার জেলাশাসকের নির্দেশে ছাত্রী আবাস নিয়ে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।

Advertisement

জেলাশাসক তথা স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি পি উল্গানাথন বলেন, “সংগঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনের তিন আধিকারিককে নিয়ে কমিটি করে তদন্ত হবে। পাশাপাশি, ছাত্রী আবাস নিয়ে অভিভাবকদের অভিযোগের তদন্তও করবে প্রধান শিক্ষিকার নেতৃত্বাধীন কমিটি। দু’টি কমিটির রিপোর্ট দেখে পরের পদক্ষেপ করা হবে।”

সংগঠন সূত্রে দাবি, স্মারকলিপিতে সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী আবাসের সুপার শ্রাবস্তী হালদার তৃণমূলপন্থী সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্য বলে তাঁকে জনসমক্ষে হেয় করার চেষ্টা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষিকা ও কয়েকজন শিক্ষিকার মদতেই সেই কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সংগঠনের সদস্যরা জানান, প্রধান শিক্ষিকার মৌখিক অনুমতি নিয়ে স্কুল ভবনে বহিরাগত একদল শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনি করছেন। রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষিকা দীর্ঘদিন ক্লাস না করলেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষিকার নির্দেশে ছাত্রী আবাসের টাকা খরচ করে স্কুলের অডিট দলের সদস্যদের খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

Advertisement

সংগঠনের রাজ্য সহ-সভাপতি প্রভাত রায় বলেন, “বাম মনোভাবাপন্ন এক শিক্ষিকাকে হস্টেল সুপার করার জন্য আমাদের সদস্য বর্তমান সুপার শ্রাবস্তী হালদারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিছু বাম মনোভাবাপন্ন অভিভাবকের সঙ্গে ওই ষড়যন্ত্রে প্রধান শিক্ষিকার মদত রয়েছে। সে কথা আমরা জেলাশাসককে জানিয়েছি।” প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ প্রসঙ্গে শুধু বলেছেন, “প্রশাসন জানতে চাইলে যা জানানোর জানাব। আমি কোনও অন্যায় করিনি। তদন্ত হলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। আমিও চাই তদন্ত হোক।”

তৃণমূল বিরোধী শিক্ষক সংগঠনের তরফে গোটা ঘটনাটিকে ছাত্রী আবাসের সুপারকে আড়াল করার চেষ্টা বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বাম প্রভাবিত সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মলয়কান্তি দে বলেন, “প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। ছাত্রী আবাস নিয়ে প্রধান শিক্ষিকা তদন্ত কমিটি করেছেন বলে তাঁর উপর চাপ তৈরির জন্য এ সব করা হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ওই স্কুলের হস্টেলে ছাত্রীদের মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে আরও নানা অনিয়মের। অভিভাবকদের কয়েকজন সেই অভিযোগ জেলাশাসককেও জানান। বিষয়টি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কানে পৌঁছানোয় তিনি জেলাশাসকের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। বিষয়টি নিয়ে কোচবিহারের জনপ্রতিনিধি থেকে প্রাক্তনীরা সমালোচনায় সরব হন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement