সিটি অটোর দৌরাত্ম্য চলছেই

শহরে সিটি অটো চালকদের দৌরাত্ম্য চলছেই বলে অভিযোগ উঠেছে। হয়রান নিত্যযাত্রীরা। খেয়াল খুশি মত অটো চালাচ্ছে চালকরা। কোথাও রুট না মেনে চলছে অটো। কোথাও আবার রুটের গোটা পথ না গিয়েই অটো ঘুরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত যাত্রী বহন তো রয়েইছে, সামনে যাত্রী বসানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দিব্যি চলছে সেই ব্যবস্থাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৪৯
Share:

শহরে সিটি অটো চালকদের দৌরাত্ম্য চলছেই বলে অভিযোগ উঠেছে। হয়রান নিত্যযাত্রীরা। খেয়াল খুশি মত অটো চালাচ্ছে চালকরা। কোথাও রুট না মেনে চলছে অটো। কোথাও আবার রুটের গোটা পথ না গিয়েই অটো ঘুরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত যাত্রী বহন তো রয়েইছে, সামনে যাত্রী বসানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দিব্যি চলছে সেই ব্যবস্থাও। শনিবার শিলিগুড়ির সেবক মোড়ে এক পুলিশ কর্মীকে মারধরের পর এক অটো চালককে গ্রেফতার করা হলেও শিলিগুড়ির অটোচালকদের পরিবর্তন হয়নি। অটো মালিকদের ইউনিয়নের তরফে পুলিশের সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করা হয়। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “নজরদারি রাখছি। আগামীতেও কী ভাবে বেপরোয়া চালকদের শায়েস্তা করা যায় তার চিন্তাভাবনা চলছে।”

Advertisement

আশিঘর-কোর্ট মোড়, কোর্ট মোড়-চম্পাসারি, কোর্ট মোড়-সুকনা, কোর্ট মোড়-শিবমন্দির, কোর্ট মোড়-বাগডোগরা, চম্পাসারি-শিবমন্দির, কোর্ট মোড়-এনজেপি, কোর্ট মোড়-গেটবাজার, কোর্ট মোড়-ফুলবাড়ি, ফুলবাড়ি-এনজেপি সহ প্রায় প্রত্যেক রুটেই যাত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন কারণে বচসার অভিযোগ রয়েছে অটো চালকদের বিরুদ্ধে। প্রায় সব রুটের নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, খুচরো পয়সা নিয়ে অটো চালকদের সঙ্গে রোজকার বচসা লেগে থাকে। এক যাত্রী বলেন, “অটোয় চড়তে হলে খুচরো পয়সা নিয়ে তবে যাই। না হলে যে ভাষায় কিছু চালক কথা বলে তাতে ভদ্রতা রক্ষা করাই মুশকিল।”

এমনকী অটোর সামনে যাত্রী বসানো বেআইনি স্বীকার করেছেন পুলিশ কর্তাদের অনেকেই। শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি ট্রাফিক, বিশ্বনাথ হালদার বলেন, সামনে যাত্রী বসতে দেওয়া হয় না। তা বেআইনি।” তবে তা যে মানা হয় না তাও স্বীকার করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “কোনও সময় নজরদারির অভাবে এই ধরণের কাজ করে চালকেরা।” চালকদের সামলাতে নাজেহাল অটো মালিকরাও। সিটি অটো চালক ও মালিক সংগঠনের সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, “পুলিশ সবার সামনে অনেক নিয়ম নীতির কথা বলে। কিন্তু সর্ষের মধ্যেই ভূত। অবস্থার বদল হয় না।” এক অটো চালক বলেন, “গাড়ি মালিককে পয়সা দিয়ে পুলিশের হাতে কিছু দিলে তারা কিছু বলে না। বাড়তি লাভের জন্য এটুকু আমরা করি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement