বিজয়চন্দ্র বর্মন ও সৌরভ চক্রবর্তী। শনিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর বারবার আসা ও নতুন পুরোনো সকলকে ভোটের দায়িত্বে সামিল করেই, বামেদের দুর্গ বলে পরিচিত জলপাইগুড়ি জেলায় জয় হাসিল হয়েছে বলে দাবি করল তৃণমূল। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার, জেলার এই দুটি আসনেই জয়ী তৃণমূল প্রাথীরা। জেলার দুই কেন্দ্রে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রদেশ যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী এ কথা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শনিবার জলপাইগুড়ির জয়ী প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মনকে নিয়ে কলকাতা যান সৌরভবাবু। বাগডোগরা বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকও করেছেন তাঁরা।
সৌরভবাবু বলেন, “ভোটের কিছুদিন আগে দায়িত্ব পাই। যদিও, মুখ্যমন্ত্রী বারবার উত্তরবঙ্গে আসায় আগে থেকেই ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়ে ছিল। জেলায় সংগঠনে যুক্ত থাকা পুরোনো এবং সদ্য আগত সকলকে ভোটের কাজে সামিল করা হয়েছিল। সংগঠন গুছিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন যজ্ঞের সুফল তুলতে পেরেছি।” জলপাইগুড়ি কেন্দ্র থেকে জয়ী প্রার্থী বিজয়বাবু বলেন, “এই জয় দলনেত্রীর জয়। জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের কাজকে সমথর্র্ন করেই লোকসভায় ভোট দিয়েছেন।” ভোটের প্রচারে জলপাইগুড়িতে এসেও বাসিন্দাদের কাছে আসনটিতে সমর্থন চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছরখানেক আগে পঞ্চায়েত ভোটে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ বামেদের দখলে যাওয়ার পরেও, সংগঠন সাজিয়েই দলনেত্রীকে জলপাইগুড়ির দু’টি আসন উপহার দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে সৌরভবাবুরা মনে করছেন। শনিবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের দর্জিলিং জেলা কমিটির তরফে নান্টু পাল এবং দীপক শীল উপস্থিত ছিলেন।