মনোনয়ন পত্র জমা দিতে সপার্ষদ মিছিল করে যাচ্ছেন দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী মহেন্দ্র পি লামা।
ভাগ্যের বিচারে মঙ্গলবার শুভ বলে এ দিন মনোনয়ন জমা দিলেন দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের দুই নির্দল প্রার্থী। জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দার্জিলিং অ্যান্ড ডুয়ার্স ইউনাইটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্র পি লামা এবং গোর্খা রাষ্ট্রীয় কংগ্রেসের আহ্বায়ক নিমা লামা দু’জনেই নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন। নিমা লামা এ দিন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাঁর কাছে ৭ শুভ বলে। মঙ্গলবার ২৫ মার্চ। দুটি সংখ্যা যোগ করে ৭। তাই তিনি দিনটি বেছেছেন। অপর এক নির্দল প্রার্থী শিলিগুড়ির প্রধাননগরের বাসিন্দা অরুণ কুমার অগ্রবাল এ দিন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। মহেন্দ্র পি লামা বলেন, “সকলেই বলেন মঙ্গলবার শুভ দিন। জ্যোতিষশাস্ত্র অতটা না মানলেও আমার রাশিফলে মঙ্গলবার ভাল দিন বলে উল্লেখ রয়েছে।” মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে তিনি মহাকাল মন্দিরেও যান। মনোনয়ন জমা দিয়ে তিনি জানান, আলাদা গোর্খাল্যান্ড রাজ্য, দার্জিলিং নর্থ ইস্ট কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত করা, করমুক্ত এলাকা ঘোষণা-সহ নানা আশ্বাস তাঁদের ইস্তেহারে রয়েছে।
নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দিচ্ছেন গোর্খা রাষ্ট্রীয় কংগ্রেসের আহ্বায়ক নিমা লামা। রবিন রাইয়ের তোলা ছবি।
এ দিন র্যালি করে মনোনয়ন জমা দিতে যান। র্যালিতে অখিল ভারতীয় গোর্খালিগের সভানেত্রী ভারতী তামাং, সিপিআরএম নেতা গোবিন্দ ছেত্রী, তারামণি রাই-সহ চোপড়ার অরাজনৈতিক সংগঠন জামাতে উলেমার-ই হিন্দ-এর লোকজনদের দেখা গিয়েছে। অখিলভারতীয় তামাং বোদ্ধ সেবঘ সভাপতি এম এস বোমজন র্যালিতে ছিলেন। অন্য দিকে এ দিন বেলা সাড়ে ১১ টায় মনোনয়ন জমা দিয়ে নিমা লামা বলেন, “দার্জিলিঙকে সিকিমের সঙ্গে যুক্ত করা তাদের অন্যতম দাবি।”
অল ইন্ডিয়া লেপচা অ্যাসোসিয়েশন -এর সদস্যদের সঙ্গে এ দিন নিজের বাড়িতে আলোচনা করেন দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এস এস অহলুওয়ালিয়া। তাঁরা যে পাহাড়ের প্রকৃত আদিবাসী বিজেপি প্রার্থীকে তাঁরা সেই দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য লেপচাদের দুটি সংগঠন রয়েছে। অল ইন্ডিয়া লেপচা অ্যাসোসিয়েশন মোর্চার সমর্থক। কালিম্পঙের ইন্ডিজেনাস লেপচা ট্রাইবাল অ্যাসোসিয়েশন লেপচাদের জন্য উন্নয়ন বোর্ড তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছিল। এই দিন এস এস অহলুওয়ালিয়া বলেন, “লেপচাদের এই দাবি দীর্ঘ দিনের পুরনো। অথচ রাজ্য সরকার ভোট ব্যাঙ্কের কথা ভেবে তাঁদের জন্য যে উন্নয়ন বোর্ড গড়ল তা খুব বেশি কার্যকর নয়।”