রাজ্যের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে আশাবাদী নন বিমল গুরুঙ্গ

জিটিএ-এর সমস্যা সমাধানে রাজ্যের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে তিনি আশাবাদী নন বলে দাবি করলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। কেন্দ্রের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেই সমাধান সূত্র মিলতে পারে বলে শুক্রবার দাবি করেছেন গুরুঙ্গ। সে কারণে জিটিএ-এর দফতর হস্তান্তর সহ অনান্য সমস্যার কথা দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদকে বিস্তারিত ভাবে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৪ ০২:০৯
Share:

জিটিএ-এর সমস্যা সমাধানে রাজ্যের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে তিনি আশাবাদী নন বলে দাবি করলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। কেন্দ্রের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেই সমাধান সূত্র মিলতে পারে বলে শুক্রবার দাবি করেছেন গুরুঙ্গ। সে কারণে জিটিএ-এর দফতর হস্তান্তর সহ অনান্য সমস্যার কথা দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদকে বিস্তারিত ভাবে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন তিনি। জিটিএ-এর সমস্যা নিয়ে দার্জিলিঙের সাংসদ সুরিন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া লোকসভায় সরব হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন গুরুঙ্গ। তিনি বলেন, “জিটিএ একটি স্বশাসিত সংস্থা। এই সংস্থা কী ধরণের ক্ষমতা এবং দায়িত্ব পেয়েছে, কী পায়নি তা কেন্দ্রের জানা উচিৎ। আমরা কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা করছি।”

Advertisement

জিটিএ চুক্তির কোন শর্তগুলি মানা হয়েছে, কোনগুলি এখনও কার্যকর করা হয়নি তার একটি তালিকা তৈরির কথা এ দিন জানানো হয়েছে। জিটিএ-এর সভাসদ এবং সচিবরা এ দিন বৈঠকে বসে ওই তালিকা তৈরি করেছেন বলে জানা গিয়েছে। গুরুঙ্গের দাবি, মোর্চা নেতাদের বিরুদ্ধে পুরোনো মামলা প্রত্যাহার করা, জিটিএকে দফতর হস্তান্তর করার মতো শর্তগুলি এখনও পুরোপুরি মানা হয়নি। পুরো তালিকাটি সাংসদ অহলুওয়ালিয়াকে পাঠানো হবে বলে জানিয়ে গুরুঙ্গ বলেন, “আশা করছি সাংসদ এ বিষয়ে লোকসভায় সরব হবেন।”

সপ্তাহখানেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড় সফরে এসে জিটিএ-এর কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দ্বিপাক্ষিক এবং ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে বলে জানান। সে সময়ে জিটিএ প্রধান বিমল গুরুঙ্গ রিচমন্ড হিলে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠকও করেছিলেন। তার পরে, এ দিন গুরুঙ্গের ঘোষণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পাহাড়বাসীরা। এ দিন দার্জিলিঙে ঘর বিলির অনুষ্ঠানে এসে গুরুঙ্গ সাংবাদিকদের বলেন, “এর আগেও একাধিকবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। তবে কোনও সমাধান হয়নি। তাই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে আমরা মোটেই আশাবাদী নই। কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে চেষ্টা করছে। দেখা যাক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে কী হয়, তার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে।”

Advertisement

তবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোর্চার প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন কিনা, তা নিয়েও স্পষ্ট করে কিছু জানাতে চাননি গুরুঙ্গ। তিনি জানিয়েছেন, বৈঠকের দিনক্ষণ স্থির হওয়ার পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

যদিও এ বিষয়ে তৃণমূলের পাহাড় কমিটির সভাপতি রাজেন মুখিয়া অবশ্য দাবি করে বলেন, “গুরুঙ্গ কখন কী বলেন ঠিক নেই। কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি দেখা করে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছিলেন। দার্জিলিং নিয়ে রাজ্য সরকারের সদর্থক মনোভাব রয়েছে। গুরুঙ্গদেরও সদর্তক ভাবেই চিন্তাভাবনা করা উচিত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement