মিসড কলে আলাপ করেছিল আনারুল

মোবাইলে ‘মিসড কল’-এর সূত্রেই নিউ জলপাইগুড়ির ওই কিশোরীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল বর্ধমানের পূর্বস্থলীর আনারুল শেখের। সেই সূত্রে মোবাইলে ফোন করেই তাকে ফুঁসলে বর্ধমান নিয়ে যাওয়ার জন্য প্ররোচনা দেয় ওই অভিযুক্ত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে ওই কিশোরী বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৩৮
Share:

মোবাইলে ‘মিসড কল’-এর সূত্রেই নিউ জলপাইগুড়ির ওই কিশোরীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল বর্ধমানের পূর্বস্থলীর আনারুল শেখের। সেই সূত্রে মোবাইলে ফোন করেই তাকে ফুঁসলে বর্ধমান নিয়ে যাওয়ার জন্য প্ররোচনা দেয় ওই অভিযুক্ত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে ওই কিশোরী বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

শনিবার কিশোরীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন সকালে কিশোরীকে বর্ধমান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হল শিলিগুড়িতে। শুক্রবার সকালে কিশোরীর সঙ্গে গ্রেফতার তিন যুবককেও এদিন সকালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। মূল অভিযুক্তকে অবশ্য খোঁজা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি অংমু গ্যামসো পাল বলেন, “মূল অভিযুক্তকে খোঁজা হচ্ছে।” কিশোরী আপাতত জেলা শিশু সুরক্ষা সমিতির তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

ধৃতরা সকলেই বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর জামালপুরের বাসিন্দা। এরা আনারুলের সঙ্গে মিলে মুক্তিপণ আদায়ের ছক কষে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের নাম সাগর পাল, সংগ্রাম পাল, এবং অবতার শেখ। গত ৬-৭ মাস ধরে ওই কিশোরীর সঙ্গে মিসড কলের সূত্র ধরে আলাপ ও ক্রমে ঘনিষ্ঠতা। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পারে। সেই কথা শুনেই প্রলোভনে পা দিয়েছিল ওই কিশোরী। কয়েকদিন ধরেই বাড়ি ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিল। সেই উদ্দেশ্যে বাড়ির আলমারি থেকে দেড় হাজার টাকা আগেই সরিয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে ওই টাকা নিয়ে শতাব্দী এক্সপ্রেসে চড়ে বসে। সঙ্গে নেয় মায়ের মোবাইল ফোনও। তাকে আনারুল হাওড়া স্টেশনে নিতে আসবে বলে জানিয়েছিল। হাওড়ায় নেমে সেখান থেকেই ট্রেনে তারা বর্ধমানে যায়। বুধবার দুপুরে ওই মোবাইল থেকে কিশোরীর বাবার কাছ ফোন যায়। এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ না দিলে কিশোরীকে ছাড়া হবে না বলে এক ব্যক্তি হুমকি দেয়। কিশোরীর বাবা পেশায় ব্যবসায়ী পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রওনা হন। অপহরণকারীদের কথামত জায়গায় গিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তবে আনারুল পালিয়ে যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement