মালদহে গুলিবিদ্ধ তৃণমূলের দুই কর্মী, অভিযুক্ত সিপিএম

দুই তৃণমূল কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ কালিয়াচক থানার গঙ্গানারায়ণপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। দল না ছাড়ায় তাঁদের গুলি করা হয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী রমেন মন্ডল ও হরেন মণ্ডলকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রমেনবাবুর ডান হাতে গুলি লেগেছে ও হরেন মন্ডলের বাঁ পায়ে গুলি লেগেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৪ ০১:২১
Share:

আহত দুই তৃণমূল কর্মী। —নিজস্ব চিত্র।

দুই তৃণমূল কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ কালিয়াচক থানার গঙ্গানারায়ণপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। দল না ছাড়ায় তাঁদের গুলি করা হয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী রমেন মন্ডল ও হরেন মণ্ডলকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রমেনবাবুর ডান হাতে গুলি লেগেছে ও হরেন মন্ডলের বাঁ পায়ে গুলি লেগেছে। সম্পর্কে তাঁরা কাকা এবং ভাইপো। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ অবশ্য এখনও পযর্ন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। জেলা পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “কংগ্রেসের হাত ধরে সিপিএম কালিয়াচকে সন্ত্রাস শুরু করেছে। সিপিএম জোর করে আমাদের কর্মীদের দল ছাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। আমাদের ওই কর্মীরা দল না ছাড়ায় সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে ঢুকে গুলি চালিয়েছে।”

দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলায় ক্ষুব্ধ সিপিএমের জেলা সম্পাদর অম্বর মিত্র। তিনি বলেন, “যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে সেখানে এবং লাগোয়া এলাকায় কংগ্রেস-সিপিএমের কোন অস্বিত্ব নেই। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। গত পঞ্চায়েত নিবার্চনে এলাকার ৪৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত, পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতি ও দুইটি জেলা পরিষদ আসনে কংগ্রেস-সিপিএম কেউই প্রার্থী দিতে পারিনি।” তাঁর অভিযোগ, “যেখানে আমাদের দলের অস্তিত্বই নেই। সেখানে আমরা তৃণমূলের উপর হামলা করব। হাস্যকর যুক্তি। আসলে তৃণমূল দুই গোষ্ঠীর গোলমালের জেরে ওদেরই দুইকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে।” যদিও সিপিএমের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

আর জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, “কালিয়াচকের সমস্ত সমাজবিরোধী এখন তৃণমূলে আশ্রয় নিয়েছে। সুতরাং কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সিপিএম তৃণমূল কর্মীদের উপর গুলি চালিয়েছে, এই অভিযোগ হাস্যকর।”

ঘটনার পরই গঙ্গা নারায়ণপুর গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ যুবক রমেন মন্ডলের কাকা আশুতোষ মণ্ডল বলেন, “ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সবাই উঠোনে বসে গল্প করছিল। সেই সময় চার-পাঁচ জন যুবক বাড়ির ভিতরে ঢুকে এলেপাথাড়ি গুলি চালাতে তাকে। ভাই হরেনের ডান পায়ে গুলি লাগে ও ভাইপো রমেন মণ্ডলের বাঁ হাতে গুলি লাগে। চিৎকার হতেই ওরা পালায়।”

মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে হরেন মণ্ডল অভিযোগ করেন, “আমরা আগে কংগ্রেস করতাম। পঞ্চায়েত ভোট থেকে আমরা তৃণমূল করছি। গত কয়েকদিন ধরে গ্রামের সিপিএমের লোকজন ওঁদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। কেউ রাজি না হওয়ায় ওরাই বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। ওরা সবাই সিপিএমের লোক।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement