ফেরার কেএলও জঙ্গি মালখান সিংহের নাম করে পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়ে এক বিজেপি নেতাকে মোবাইল ফোনে পরপর তিনবার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, গত বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ওই নেতাকে টেলিফোনে হুমকি দেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে মঙ্গলপুরা অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি বিপিন চন্দ্র মণ্ডল হবিবপুর থানায় মালখান সিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ফের দুপুরে তাঁকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়। এর পরেই তিনি মোবাইলটি বন্ধ করে দিয়েছেন। পুলিশের পাশাপাশি দলের বিভিন্ন স্তরে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। জেলা পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “ওই ফোনগুলি সত্যি মালখান সিংহ করেছিল, না মালখান সিংহের নাম করে কেউ করেছে তা দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, যে নম্বর থেকে ফোন করা হয়েছিল, সেটির সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। গত ২৫ জানুয়ারি রাতে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের মোবাইলে মালখান সিংহের নাম করে ১০০ ঘণ্টার মধ্যে পঞ্চাশ লক্ষ চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ওই ফোনের সূত্র ধরে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল। পুলিশের অনুমান, বিজেপি নেতার ক্ষেত্রেও তেমন ঘটনা হতে পারে।
ঘটনার জেরে অবশ্য ওই বিজেপি নেতা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। পেশায় চাষি ওই ব্যক্তির বাড়ি মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের খোঁচাকান্দর গ্রামে। এই গ্রাম থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে কাংসা গ্রামে কেএলও জঙ্গি মালখান সিংহের বাড়ি। এদিন বিপিনবাবু বলেন, “নিজেকে মালখান সিংহ পরিচয় দিকে মোবাইলে ফোন করেছিল এক ব্যক্তি। জেলবন্দি সহকর্মীদের আইনি সাহায্য এবং সংগঠনের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়। টাকা কোথায় পাব বলাতে, ওই ব্যক্তি বলে মঙ্গলপুর পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। সবাই মিলে টাকা জোগাড় করে দিবি। টাকা না দিলে পরিণাম খারাপ বলে জানিয়ে লাইন কেটে দেয়। তিনবার টেলিফোন করেছে। আতঙ্কে আছি।”
উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নিবার্চনের আগে মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশের জাজইল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি নেতা নৃপেন মণ্ডলকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে মালখান সিংহ ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে।