মারধর। ছবি: তরুণ দেবনাথ।
মিড ডে মিলের খোঁজখবর নিতে গিয়ে সংখ্যালঘু মিড ডে মিল বিভাগের এক কর্মীকে মারধর করার অভিয়োগ উঠেছে তৃণমূল প্রভাবিত মাদ্রাসা শিক্ষক সংগঠনের সদস্যদের একাংশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ওই অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া এলাকায়। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, অভিযুক্তেরা সকলেই মাদ্রাসা শিক্ষকদের সংগঠন তৃণমূল আনএডেড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য।
এ দিন সংগঠনের একদল সদস্য সংখ্যালঘু মিডডে মিল বিভাগের কর্মী রবিন দেবশর্মার কাছে মিড ডে মিলের বরাদ্দ সম্পর্কে জানতে চান। ইটাহারের পাঙ্খাবাড়ি হাইমাদ্রাসা-সহ জেলার একাধিক মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মিড ডে মিলের বরাদ্দ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তোলা হয়। রবিনবাবুর সঙ্গে শিক্ষকদের একাংশ বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এরপরেই রবিনবাবুকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ইটাহারের কুমেদপুর এলাকার বাসিন্দা সাহাজাহান আলম নামে পাঙ্খাবাড়ি হাই মাদ্রাসার এক শিক্ষককে সরকারি কর্মীরা আটক করে পাল্টা মারধর করেন বলেও অভিযোগ। পরে জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
জেলাশাসক স্মিতা পাণ্ডে বলেন, “সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদনহীন কোনও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষই মিড ডে মিলের বরাদ্দ পাবেন না। তা মেনে নিতে না পেরে শিক্ষকের একাংশ ক্ষেপে গিয়ে রবিনবাবুকে মারধর করেন। অভিযুক্তদের নামে প্রশাসনের তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানো হচ্ছে।” জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। দল কোনও বেআইনি কাজ বরদাস্ত করবে না।” কর্ণজোড়া পুলিশ ফাঁড়ির ওসি দিলীপ রায় জানান, রবিনবাবু বা প্রশাসনের তরফে রাত অবধি অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
রবিনবাবু জানান, “অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলিকে মিড ডে মিলের বরাত দেওয়া সম্ভব নয় জানাতেই আমাকে মারধর করে গলা টিপে ধরা হয়। দফতরের কর্মীরা ছুটে না আসলে কী যেত হত! পুলিশ অভিযোগ জানাব। আর কাউকে সেখানে মারধর করা হয়নি। একজন পালানোর সময় ধরা পড়ে পরে মারধর করা হয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।”
আর সাহাজাহানবাবু বলেন, “ওই সরকারি কর্মীকে কেউ মারধর করেছে বলে আমার জানা নেই। সাময়িক উত্তেজনা হয়েছিল। উল্টে আমাকেই সরকারি কর্মীরা আটক করে হেনস্থা করেন। পুলিশে অভিযোগ জানাব।”