ভাইচুঙের সভা বানচাল করার চেষ্টায় অভিযুক্ত গুরুঙ্গরা

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ভাইচুং ভুটিয়ার সভা বানচাল করতে চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করল তৃণমূল। রবিবার সকালে দার্জিলিঙের বাদামতাম এলাকায় ভাইচুঙের সভা ছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, সভায় যাতে কোনও লোক থাকতে না পারেন, সে জন্যই মোর্চার দোকানপাট বন্ধ রাখার ‘ফতোয়া’ দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৪০
Share:

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ভাইচুং ভুটিয়ার সভা বানচাল করতে চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করল তৃণমূল। রবিবার সকালে দার্জিলিঙের বাদামতাম এলাকায় ভাইচুঙের সভা ছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, সভায় যাতে কোনও লোক থাকতে না পারেন, সে জন্যই মোর্চার দোকানপাট বন্ধ রাখার ‘ফতোয়া’ দেয়। এমনকী, দোকানপাট খোলা থাকলে মোর্চা মারধরের হুমকিও দিয়েছে বলে অভিযোগ। এ দিন সকালে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ফলে মাইক থাকলেও তা বাজেনি। যদিও মোর্চা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দার্জিলিঙের পুলিশের এসপি অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Advertisement

পাহাড় তৃণমূলের সহ সভাপতি রাজেন তামাঙ্গ অভিযোগ করেন, প্রশাসনিক অনুমতি নিয়েই সভা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। তিনি বলেন, “কিন্তু বাদামতাম এলাকাতে পৌঁছে দেখি, কার্যত বন্ধের চেহারা নিয়েছে এলাকা। সমস্ত দোকানপাট বন্ধ। এমনকী সকাল থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল যাতে প্রচারের আওয়াজ কোথাও পৌঁছতে না পারে।” মোর্চার পক্ষ থেকে শনিবার রাতে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। কাউকে সভাস্থলের আশপাশে দেখা গেলেও মারধর করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে রাজেনবাবুর দাবি। শ’খানেক তৃণমূল সমর্থক ও জনা পঞ্চাশ পুলিশ কর্মী ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি এলাকায়। দার্জিলিঙের তৃণমূল প্রার্থী ভাইচুং বিষয়টিকে হতাশাজনক ও অগণতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “এটা গণতন্ত্রের পক্ষে চরম লজ্জার।” বাদামতাম দার্জিলিং শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। এলাকায় ১৬টি দোকান এবং ৬০ টি বাড়ি রয়েছে। সভা চলাকালীন কোনও বাড়ি থেকেই কাউকে বেরোতে দেখা যায়নি। বিস্তারিত জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দেবে তৃণমূল বলে তৃণমূলের সহকারী সভাপতি জানিয়েছেন। রাজেনবাবু জানান, তিন জন জিটিএ সদস্য সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে এই ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।

যদিও তৃণমূলের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন মোর্চার সহকারী সভাপতি বিনয় তামাঙ্গ। তিনি বলেন, যে কোনও দল যে কোনও জায়গায় সভা করতে পারে। তিনি বলেন, “আমরা কাউকে বাধা দিইনি বা কাউকে কোনও ভয়ও দেখাইনি। এলাকার লোকজন যদি দোকানপাট বন্ধ করে থাকেন, তবে তৃণমূলের বোঝা উচিত, তাঁদের মানুষ বাতিল করেছে।”

Advertisement

এদিন সভায় মোর্চার সমালোচনা করে ভাইচুং বলেন, এলাকার উন্নয়নের দিকে একেবারেই নজর দেয়নি মোর্চা। গতবারের মোর্চা সমর্থিত বিজেপি সাংসদ যশোবন্ত সিংহকেও কটাক্ষ করেন তৃণমূল প্রার্থী। তিনি বলেন, “যশোবন্তকে গত পাঁচ বছরে পাহাড়ে দেখা যায়নি। এমনকী প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ে পাহাড়বাসী যখন দিশেহারা, তখনও তিনি একবারও আসার প্রয়োজন মনে করেননি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement