বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে রহস্য

রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া এলাকায় এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার পর ছ’দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনও মৃতার মোবাইল ও ডায়েরি উদ্ধার করতে পারেনি। ওই মহিলা তাঁর বান্ধবীর যে ফ্ল্যাটে থাকতেন, সেখানে তল্লাশি চালিয়েও মেলেনি কিছুই। ওই মহিলা আত্মহত্যা করেছেন কী না তা নিয়ে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৪৫
Share:

রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া এলাকায় এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার পর ছ’দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনও মৃতার মোবাইল ও ডায়েরি উদ্ধার করতে পারেনি। ওই মহিলা তাঁর বান্ধবীর যে ফ্ল্যাটে থাকতেন, সেখানে তল্লাশি চালিয়েও মেলেনি কিছুই। ওই মহিলা আত্মহত্যা করেছেন কী না তা নিয়ে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধছে। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই ওই মহিলার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে।”

Advertisement

কালিয়াগঞ্জের থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মানসী মল্লিক(৩৫) নামে ওই গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে গত মঙ্গলবার অন্তরা গুহ নায়েক নামে মহিলা পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তিনি বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। ধৃত ওই মহিলা কনস্টেবল কর্ণজোড়ায় জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন। গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে বরখাস্ত করেছে জেলা পুলিশ!

পুলিশ সূত্রের খবর, জেরার মুখে কালিয়াগঞ্জের কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা অভিযুক্ত অন্তরাদেবী বার বার দাবি করছেন, মানসীদেবী ফ্ল্যাটের শৌচাগারে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিশ জানতে পেরেছে, মানসীদেবী নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন। কিন্তু মানসীদেবীর সেই ডায়েরি ও মোবাইল ফোন কোথায় রয়েছে, সেই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন অন্তরাদেবী। পুলিশের সন্দেহ, মানসীদেবীর মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে গামছাটি কোথাও পড়ে গিয়ে থাকতে পারে। সেইসময় মৃতার মোবাইল ফোন ও ডায়েরি কেউ সরিয়ে দিয়েছেন কী না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ওই ফ্ল্যাটটিও সিল করে দিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

গত ৩০ অগস্ট সকালে ফ্ল্যাটের শৌচাগার থেকে মানসীদেবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বলে দাবি করেন অন্তরাদেবী। অন্তরাদেবী সহ কয়েকজন মহিলা মানসীদেবীর দেহ রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওইদিন অন্তরাদেবী ছাড়া আর কারা মানসীদেবীর মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন,তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মানসীর বাবা মাখনচন্দ্র মল্লিক ইসলামপুর থানার কনস্টেবলের পদে কর্মরত রয়েছেন। ঘটনার পর তিনি অন্তরার বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অন্তরার আইনজীবী দীপক দাস বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই স্পষ্ট যাবে মানসীদেবী আত্মহত্যা করেছেন। অন্তরাদেবীকে ফাঁসানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement